একদিনে ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
করোনার প্রভাব যেন পুরোপুরি বিদায় নেয়নি! নতুন করে একদিনে ২১ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। যদিও মৃত্যুর খবর নেই, তবুও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।..

বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতির নাটকীয় উন্নতি দেখা গেলেও বাংলাদেশে সংক্রমণের নতুন ঢেউ মাঝে মাঝেই উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। দীর্ঘ সময় স্থিতিশীল থাকার পর গত ২৪ ঘণ্টায় আবারও শনাক্ত হয়েছে ২১ জন নতুন করোনা রোগী। যদিও মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি, তথাপি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই পরিস্থিতিকে হালকাভাবে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫ তারিখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত নিয়মিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়—নতুন শনাক্ত হওয়া এই ২১ জনের মাধ্যমে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১৮ জনে।

তথ্য অনুযায়ী, সর্বমোট শনাক্তের হার বর্তমানে ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার কিছুটা বেড়ে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় আশঙ্কাজনক বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশে করোনা প্রথম ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। সেদিন ৩ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। এর ঠিক ১০ দিন পর, ১৮ মার্চ ২০২০-এ দেশে প্রথম একজন করোনা রোগীর মৃত্যু ঘটে। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের প্রতিটি প্রান্তে।

বিশেষ করে ২০২১ সালের আগস্ট মাস ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ওই মাসের ৫ এবং ১০ তারিখে, প্রতিদিনেই ২৬৪ জন করে মানুষ মারা যান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। সেই সময় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হয়েছিল।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, “করোনার ভাইরাস কখনই পুরোপুরি চলে যায়নি। বরং এটি বিভিন্ন রূপে মাঝে মাঝে ফিরে আসছে। তাই টিকা নেওয়া থাকলেও মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়া এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলা—এই অভ্যাসগুলো ফিরিয়ে আনতে হবে।”

তারা আরও জানান, যেহেতু ভাইরাসটি সংক্রমণক্ষমতার দিক থেকে পরিবর্তনশীল, তাই হালকা জ্বর, গলা ব্যথা, বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলেই পরীক্ষা করানো উচিত। অনেকেই করোনাকে সাধারণ ফ্লু মনে করে অবহেলা করছেন, যা বিপজ্জনক হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সংক্রমণ পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক মনে হলেও জনগণ যেন আত্মতুষ্টিতে না ভোগে। টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি হাসপাতালগুলোতে আবারও করোনা ইউনিট প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

করোনা হয়তো আর আগের মতো ভয়াবহ নয়, তবে তার অনিশ্চিত উপস্থিতি এখনও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে রয়ে গেছে। তাই প্রতিটি নাগরিকের উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সরকারি নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা।

کوئی تبصرہ نہیں ملا