close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

এক মাসে রেমিট্যান্সে অতীতের সব রেকর্ড ভাঙল: দেশের ইতিহাসে প্রথমবারে ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে নতুন মাইলফলক! মার্চ মাসে দেশে এসেছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স, যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।..

তীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন (৩২৯ কোটি) ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা (১২২ টাকা প্রতি ডলার হিসেবে)।

গত মার্চ মাসে এই রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা। এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৯৯ কোটি ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৬৪ দশমিক ৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৬ এপ্রিল (রোববার) প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, শুধু মার্চ নয়, পুরো অর্থবছরেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তির দিকে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রবাসীরা ধারাবাহিকভাবে উল্লেখযোগ্য রেমিট্যান্স পাঠিয়ে যাচ্ছেন। জুলাই মাসে এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ, নভেম্বরে ২২০ কোটি এবং ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার।

চলতি অর্থবছরের জানুয়ারিতে এসেছে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

প্রসঙ্গত, করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার, যা তখন ছিল একটি রেকর্ড। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলারে পৌঁছে সে রেকর্ড ভাঙে। কিন্তু এবার মার্চ মাসে সেই রেকর্ডও ছাপিয়ে যায় রেমিট্যান্স প্রবাহ।

অর্থনীতিবিদদের মতে, এই রেকর্ড রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে, টাকার মান স্থিতিশীল রাখতে এবং সামগ্রিক অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি এটি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহায়ক হবে এবং প্রবাসী আয়ের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো উপকৃত হবে।

এই রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোকে আরও সহজ ও লাভজনক করতে সরকারের নানা উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।

Nema komentara