close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

×

এক বছর তিন মাস পর হত্যা রহস্য উদঘাটন!

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
কালুয়ারকান্দার ফিরোজ মিস্ত্রি হত্যা মামলায় দুই কিশোর গ্যাং সদস্য গ্রেপ্তার..

রিপোর্ট মেহেদী হাসান: এক বছর তিন মাস ধরে অন্ধকারে ঢাকা ছিল একটি নির্মম হত্যাকাণ্ডের রহস্য। অবশেষে, নরসিংদীর শিবপুরে ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি ফিরোজ মিয়ার হত্যা মামলার জট খুলল। গ্রেপ্তার হলো দুই কিশোর গ্যাং সদস্য—পুলিশের কঠোর নজরদারি ও অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।

২০২৪ সালের মার্চ মাস। শিবপুরের তাতারকান্দা এলাকায় জান্নাতুল বাকী জামে মসজিদ থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে এক ভয়ংকর হামলার শিকার হন ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি ফিরোজ মিয়া। দুষ্কৃতিকারীরা তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় রক্তাক্ত অবস্থায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

দীর্ঘদিন মামলা তদন্তের পর একাধিকবার তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন হলেও রহস্য ছিল অধরা। তবে অবশেষে, এসআই সাদিকুর রহমান ও এসআই রেজাউল করিমের যৌথ অভিযানে মামলার মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো: ১. খোরশেদ মিয়ার ছেলে জহিরুল মিয়া ও ২. রতন হাজীর ছেলে আমিন মিয়া। উভয়ের বাড়ি নরসিংদী শিবপুর কালুয়ারকান্দায়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি, দা ও ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে জনসমক্ষে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, "ফিরোজ খুব শান্ত মানুষ ছিল, কারো সাথে শত্রুতা ছিল না। এমন হত্যাকাণ্ড দেখে আমরা সবাই শোকাহত ছিলাম। এখন কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি।"

এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তা বক্তব্যে জানা যায়, “এই মামলার তদন্তে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। অবশেষে অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।”

এক বছর তিন মাস পর উদঘাটিত হলো ফিরোজ মিস্ত্রির হত্যা রহস্য। পুলিশের এই সাফল্য স্থানীয়ভাবে যেমন প্রশংসিত, তেমনি এটি বার্তা দেয়।

Walang nakitang komento