চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় আবারও নকলের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় মোট ৫ জন শিক্ষার্থীকে নকলের দায়ে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার তৃতীয় দিনেই এই ঘটনা ঘটেছে। বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলায় তিনজন, আর কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় একজন করে মোট পাঁচজনকে পরীক্ষাকেন্দ্রেই হাতেনাতে নকলের সময় আটক করা হয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী বলেন,পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দায়িত্বরত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করেন। পরে অনুসন্ধানে দেখা যায়, তারা নকলের সঙ্গে যুক্ত। সঙ্গে সঙ্গেই বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের বহিষ্কার করা হয়।
এদিন অনুষ্ঠিত ইংরেজি প্রথম পত্রের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৫৭২ জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৯৭ হাজার ৯৯৩ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ৫৭৯ জন।
এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগের পরীক্ষাতেও একই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও মিরসরাইয়ে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
একজন নাজিরহাট কলেজ কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নকল করছিলেন, অন্যজন হাতে লেখা চিরকুট ব্যবহার করছিলেন।
চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে এ বছর মোট ১ লাখ ২ হাজার ৯৭৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম জেলায়ই পরীক্ষার্থী ৭১ হাজার ৯৪৭ জন। নগর এলাকায় রয়েছেন ৪৮ হাজার ৪৮০ জন।
এই বোর্ডের আওতায় মোট ১১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এত বিশাল পরিসরে পরীক্ষা পরিচালনা করতে গিয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নিতে হচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন,কোনো ধরনের অসদুপায় বরদাশত করা হবে না। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টদের মতে, সবার জন্য একই সুযোগ ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতেই এমন কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে।
এইচএসসি পরীক্ষায় নকলের মতো জঘন্য অপরাধে বারবার শিক্ষার্থীদের জড়িত পাওয়া উদ্বেগজনক। শিক্ষা বোর্ডের কড়া পদক্ষেপ আশা করা যায় অন্যদের জন্য সতর্কতা হিসেবে কাজ করবে। নকল নয়, সৎভাবে নিজ যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হওয়ার শিক্ষা এখন সবচেয়ে জরুরি।