close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
করোনার ৫ বছর পর, চীনে নতুন ভাইরাস নিয়ে শঙ্কা—বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?
করোনা মহামারির দীর্ঘমেয়াদী ছায়া কাটতে না কাটতেই পূর্ব এশিয়ার দেশ চীন আবারও এক রহস্যময় ব্যাধির কবলে। রাইনোভাইরাস ও হিউম্যান-মেটা-নিউমো (HMP) ভাইরাসকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও, এই ভাইরাসের প্রকৃত মিউটেশন বা ভয়াবহতা নিয়ে এখনো নিশ্চিত তথ্য মেলেনি। বিশেষত, শ্বাসতন্ত্রে জটিলতা সৃষ্টি করা এই ভাইরাসের লক্ষণ সম্প্রতি জাপানেও শনাক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ কি ঝুঁকিতে?
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. তাহমিনা শিরীন জানিয়েছেন, এইচএমপি ভাইরাস নতুন কোনো ভাইরাস নয়। বাংলাদেশে এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, "শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ছড়ায় এমন অন্যান্য ভাইরাসের মতোই এটি কাজ করে। এর উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি এবং ঠান্ডাজনিত অসুস্থতার মতো সাধারণ। কোভিড-১৯ ছিল নতুন এবং ভিন্নতর, তাই তার প্রভাবও ছিল ব্যাপক। তবে এইচএমপি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়।"
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকুন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে শিশু এবং বয়স্কদের মাঝে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব আগে থেকেই রয়েছে। তবে এটি সাধারণত মারাত্মক প্রভাব ফেলে না। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মুশতাক হোসেন বলেন, "বেশিরভাগ ভাইরাসেরই সরাসরি কোনো ওষুধ নেই, কিন্তু লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা যথেষ্ট কার্যকর। এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট
২০২৩ সালে নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। যদিও এর কারণে মহামারির আশঙ্কা নেই, তবে চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই ভাইরাসের গতিবিধি নজরে রাখতে হবে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সতর্কতা, কিন্তু আতঙ্ক নয়
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, করোনার মতোই এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানোর উপায় হলো সঠিক স্বাস্থ্যবিধি পালন। অতএব, আতঙ্ক নয়, বরং সচেতন থাকুন। নতুন কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিস্থিতি যতই অস্থিতিশীল হোক, সঠিক তথ্য এবং প্রস্তুতির মাধ্যমেই বাংলাদেশ যে কোনো সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম।
Geen reacties gevonden