close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

এফ-১৬ দিয়ে ইরান'কে রু'খে দিয়ে'ছিল ইস'রায়ে'ল

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরান যখন সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদকে উদ্ধার করতে সেনাবাহিনী পাঠাতে চাইছিল, তখন ইসরায়েলের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মুহূর্তে ইরানি পরিকল্পনা ভণ্ডুল করে দেয়। কীভাবে ইসরায়েল মাঝ আকাশেই ইরানকে ব্যর্থ কর..

এফ-১৬ ঝড়: ইরানকে ঠেকিয়ে সিরিয়ায় প্রভাব বিস্তারে সফল ইসরায়েল!

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত রাজনীতিতে আবারও আলোচনায় ইসরায়েলের সামরিক সাফল্য। বিদ্রোহীদের প্রবল আক্রমণের মুখে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সিরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। আসাদের পতনের মুহূর্তে পাশে দাঁড়াতে ছুটে আসে ইরান। নিজের মিত্রকে রক্ষায় ইরান সামরিক সহায়তা পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। তবে তাদের এই প্রয়াস সফল হতে দেয়নি ইসরায়েল। নিজেদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে ইরানি বিমানকে মাঝ আকাশে বাধা দেয় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।

সোমবার (২৮ এপ্রিল), বার্তাসংস্থা এপির বরাতে টাইমস অব ইসরায়েল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই নাটকীয় ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ইরান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উদ্ধার করতে এবং তার পক্ষে লড়াই করতে সামরিক ডিভিশন সিরিয়ায় পাঠানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ইসরায়েলি বিমানবাহিনী দক্ষতার সাথে ইরানি ফ্লাইট থামিয়ে দেয়।

নেতানিয়াহু বলেন, “ইরান একটি বা দুটি বিমানবাহিনী ডিভিশন সিরিয়ায় পাঠাতে চাইছিল। তারা চেয়েছিল আসাদকে রক্ষা করতে, বিশেষ করে যখন লেবানো ফ্রন্টে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের হাতে বড় ধাক্কা খেয়েছিল।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা তাদের পরিকল্পনা থামিয়ে দিয়েছি। আমাদের কিছু এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ইরানি বিমানের দিকে পাঠানো হয়েছিল। এতে তারা পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তারা দামেস্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, কিন্তু আমরা মাঝপথেই তাদের থামিয়ে দিই।”

তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অতিরিক্ত কোনো সামরিক তথ্য প্রকাশ করেননি। কোন এলাকায় বা কীভাবে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ইরানি বিমানকে বাধা দিয়েছিল, সেই তথ্য রয়ে গেছে গোপনেই।

বস্তুত, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের সেই ঘটনায় সিরিয়ায় নতুন করে ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বের মাত্রা বেড়ে যায়। বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক চিত্র নতুন করে আঁকা হচ্ছে, যেখানে ইরান ও ইসরায়েল পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছে আরও তীব্রভাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আসাদ সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে সিরিয়ায় প্রভাব বিস্তারে ইরান এবং ইসরায়েল দুই দেশই সক্রিয় হয়ে ওঠে। তবে ইসরায়েলি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের এ কৌশলী অভিযান ইরানের সামরিক প্রচেষ্টা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

আজকের এই তথ্য প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি যে আরও অনিশ্চিত এবং উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, তা আবারও স্পষ্ট হলো ইসরায়েল-ইরান এই সামরিক পাল্টাপাল্টিতে।

Nessun commento trovato