close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

এবারও ডারউইনে টি–টোয়েন্টি দল পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ, আছে পাকিস্তান আর নেপালও..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশ ‘এ’ দল খেলবে অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে টপ এন্ড টি–টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। থাকছে পাকিস্তান শাহিনস ও নেপাল জাতীয় দলও। ১৪ আগস্ট মাঠে নামবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান।..

অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য নর্দার্ন টেরিটরিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আরও একটি আসর, যেখানে এবার অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। গত বছর এই আসরে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দল খেলেছিল ফাইনালে, তবে শিরোপা লড়াইয়ে হারতে হয়েছিল অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমির কাছে।

এবার সেই অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পাঠাচ্ছে ‘এ’ দলকে। শুধু বাংলাদেশ নয়, এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে পাকিস্তান শাহিনস (পাকিস্তানের ‘এ’ দল) এবং নেপাল জাতীয় দল। এটি হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতায় ভরপুর একটি আয়োজনে পরিণত।

মোট ১১টি দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্ট, যার আয়োজন করছে নর্দার্ন টেরিটরি ক্রিকেট বোর্ড। পূর্ণাঙ্গ সূচি এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তবে ইতিমধ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ চূড়ান্ত হয়েছে —
১৪ আগস্ট টিআইও স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল বনাম পাকিস্তান শাহিনস
এই ম্যাচটি রাখা হয়েছে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্থানীয়দের উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে।

নর্দার্ন টেরিটরি ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী গ্যাভিন ডোভি বলেন,আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু পিসিবি ও বিসিবিকে ডারউইনে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এত শক্তিশালী দুটি দলকে আমন্ত্রণ জানানো আমাদের জন্য সম্মানের।

এই মন্তব্যই বোঝায়, এবারের আসর শুধু একটি ঘরোয়া বা সাধারণ টুর্নামেন্ট নয়, বরং এটি হয়ে উঠছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন আয়োজন

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান,ডারউইনের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরতে পেরে আমরা খুবই খুশি। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে মানসম্পন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে পারাটা আমাদের ইমার্জিং খেলোয়াড়দের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা হবে।

এর মানে, বিসিবি এবারের অংশগ্রহণকে শুধুই একটি সফর নয়, বরং ভবিষ্যতের জাতীয় দল গঠনে খেলোয়াড়দের প্রস্তুতিমূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখছে।

পাকিস্তান শাহিনসের সিইও সুমাইর আহমেদ সায়ীদ বলেন,আমরা আনন্দের সঙ্গে নিশ্চিত করছি, পাকিস্তান শাহিনস টানা তৃতীয়বারের মতো এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। এটি আমাদের উদীয়মান ক্রিকেটারদের জন্য এক দুর্দান্ত সুযোগ।

পাকিস্তানের মতো দল যখন একই টুর্নামেন্টে বারবার অংশ নেয়, তখন বোঝা যায় এটি কেবলই সৌজন্যমূলক কোনো আয়োজন নয় — বড় প্রতিযোগিতারই মঞ্চ

এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ মানেই আন্তর্জাতিক কন্ডিশনে খেলার প্রস্তুতি, যেখানে পিচ, আবহাওয়া, দর্শকসংখ্যা ও চাপ—সবকিছুর ভিন্নতা থাকে। বাংলাদেশ ‘এ’ দল এমন পরিবেশে খেলতে পারবে, যা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হবে।

Nessun commento trovato