close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

এবার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহানের পদ ত্যাগ দাবি

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দুর্নীতির অভিযোগে সহকারী সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীকে সরানোর পর এবার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। সংগঠনটি বলছে, অদৃশ..

দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে এই দুই উপদেষ্টার এপিএস (সহকারী একান্ত সচিব) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের অপসারণ করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। সংগঠনের মতে, এই দুই কর্মকর্তার অপসারণে জনমনে সামান্য হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।

রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায় কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মোয়াজ্জেম হোসেন তদবির বাণিজ্যের মাধ্যমে চার শত কোটি টাকা অর্জন করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবী এবং ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

সংগঠনটির অভিযোগ, এসব কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির চালিয়ে আসছিলেন। তাদের প্রভাবে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অবৈধ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হতেন।

বিবৃতিতে প্রশ্ন তোলা হয়, এ ধরনের দুর্নীতির পেছনে কি কোনো উচ্চপর্যায়ের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল না? সংগঠনটির মতে, এপিএস এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা একা এসব অপকর্মে লিপ্ত হয়নি, বরং তাদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও এর দায় এড়াতে পারেন না।

এই প্রেক্ষাপটে কর্মচারী ঐক্য ফোরাম দাবি জানিয়েছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। অন্যথায়, সরকারকে তাদের অপসারণ করতে হবে বলেও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগে ইতোমধ্যে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং নূরজাহান বেগমের পিও মুহাম্মদ তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

গত সপ্তাহে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পিও মুহাম্মদ তুহিন ফারাবিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

দুদকের মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে কমিশন ইতিমধ্যে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে।

Ingen kommentarer fundet