পাকিস্তানি ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব মুফতি আব্দুল কাবি এবার সরাসরি বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খানকে টেনে এনেছেন এক নতুন ও তুমুল বিতর্কে। সম্প্রতি এক পডকাস্টে মুফতি কাবি দাবি করেছেন যে, তিনি একসময় কারিনা কাপুরের স্বামী ছিলেন এবং তাদের সেই বিবাহ নাকি সম্পন্ন হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে। এই বিস্ফোরক মন্তব্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই তা ভাইরাল হয়ে যায় এবং শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
মুফতি আব্দুল কাবি, যিনি প্রায়শই তার অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড এবং বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য শিরোনামে আসেন, তিনি পডকাস্টে জানান যে তাদের বিয়েটি সম্ভবত ১৯৯৬ সালের দিকে হয়েছিল, যখন কারিনার বয়স ছিল ২১ থেকে ২৩ বছর। তিনি আরও দাবি করেন, ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের সঙ্গে বিবাহ বৈধ হতে পারে, যদি তারা নির্দিষ্ট ধর্মগ্রন্থের অনুসারী হন। কাবি উল্লেখ করেন, তাদের সম্পর্ক ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এখানেই শেষ নয়, তিনি সইফ আলি খানের সঙ্গে কারিনার পরবর্তী বিবাহকেও সমর্থন করেছিলেন এবং দাবি করেন যে ভারতীয় ধর্মগুরুরা এটিকে 'হালাল' বলে ঘোষণা করেছিলেন।
তবে, মুফতি কাবির এই দাবি সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীরা একরকম উড়িয়ে দিয়েছেন। নেটিজেনরা তাৎক্ষণিকভাবে কারিনার জন্ম তারিখের সঙ্গে কাবির দাবিকৃত বিবাহের সাল মিলিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন লিখেছেন, "কারিনা ১৯৮০ সালে জন্মেছেন, আর আপনি বলছেন ১৯৮২ সালে বিয়ে হয়েছে? অন্তত গল্পটা তো ঠিক রাখুন!" অনেকেই তার এই দাবিকে 'অশ্লীল' ও ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়েছেন, যা মূলত মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা। তার দাবির বৈধতা এবং ধর্মীয় নিয়মের ব্যাখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অন্যান্য মৌলানারাও।



















