close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং সন্দেহে নাফিজ সারাফত ও তার পরিবারের ৭৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি: পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফত এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি এবং অর্থ আত্মসাতের অ
ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি: পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফত এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন, সোমবার, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। আদালত চৌধুরী নাফিজ সারাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ এবং ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফাতের ৭৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, দুদক তাদের ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করার আবেদনটি করেছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, চৌধুরী নাফিজ সারাফত এবং তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা ও উত্তোলন করেছেন, যা তাদের বৈধ আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ। এসব ব্যাংক লেনদেনের মধ্যে অসংখ্য অর্থ পাচারের বিষয় রয়েছে, যা মানিলন্ডারিংয়ের ইঙ্গিত দেয়। দুদক জানায়, চৌধুরী নাফিজ সারাফত ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করেছেন এবং একে অপরের যোগসাজশে প্রায় ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। অনুসন্ধান টিম তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ নিয়ে কাজ করছে এবং ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে, ব্যাংক হিসাবের বিপুল অঙ্কের লেনদেনের কারণে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে যে, এসব অর্থ স্থানান্তর বা হস্তান্তর করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। এই কারণে, দুদক তাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। এতথ্য জানিয়ে দুদক আরও বলেছেন, "চৌধুরী নাফিজ সারাফত এবং তার পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকে তাদের ব্যাংক হিসাবের অর্থ অন্যত্র স্থানান্তরিত করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তাই, এসব ব্যাংক হিসাব অবিলম্বে অবরুদ্ধ করতে হবে যাতে সুষ্ঠু অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হয়।" এই ঘটনায় দেশের ব্যাংকিং খাত এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যতে আরও অনেক দুর্নীতির মামলা উন্মোচন করতে সাহায্য করবে। এমন এক পরিস্থিতিতে, সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালানো অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আদালতের এ নির্দেশনা দেশের জনগণের কাছে এক দৃঢ় বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে যে, দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন কখনোই গ্রাহকদের প্রতি সুবিচারের সাথে মেলে না।
कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator