close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
দুবাইতে বসবাসরত ৮৫০ বাংলাদেশি নাগরিকের বিপুল সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের এই সম্পদের একটি বড় অংশ অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে অর্জিত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাইয়ের বিভিন্ন বিলাসবহুল এলাকা ও বাণিজ্যিক স্থাপনায় বাংলাদেশি নাগরিকদের মালিকানাধীন বাড়ি ও জমি রয়েছে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, এসব সম্পদের মূল্য হাজার কোটি টাকার বেশি। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, টাকার পাচারের মাধ্যমে এসব সম্পদ ক্রয় করা হয়েছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা এবং দুবাইয়ের স্থানীয় প্রশাসন এখন এই সম্পদগুলোর উৎস যাচাই করতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি শুধুমাত্র টাকার পাচারের একটি অংশ, যার সঙ্গে আরও ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই খবরে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষ এবং অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা সরকারকে এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সম্পদের উৎস নির্ধারণ ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা নতুন করে বাংলাদেশ থেকে টাকার পাচার এবং আন্তর্জাতিক সম্পদের বিষয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আগামীতে আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সচেতন নাগরিকদের মতে, এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রয়োগ ও আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের অর্থনীতি রক্ষায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি