close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

দুবাই বিমানবন্দরে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন..

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এআই প্রযুক্তির সহায়তায় ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই সম্পন্ন হচ্ছে।..

দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি চালু হয়েছে এআই প্রযুক্তি নির্ভর একটি নতুন ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা, যা ভ্রমণকারীদের জন্য ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকে উল্লেখযোগ্যভাবে সহজ করে তুলেছে। এই নতুন ব্যবস্থায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সম্পন্ন হচ্ছে ইমিগ্রেশন, যা আগে কয়েক মিনিট থেকে ঘন্টা পর্যন্ত সময় নিতে পারত।

এই পদ্ধতিতে যাত্রীরা পাসপোর্ট বা ভ্রমণ সম্পর্কিত কোনো নথি প্রদর্শনের প্রয়োজন ছাড়াই ইমিগ্রেশন পার হতে পারেন। এআই প্রযুক্তি চালিত এই ইমিগ্রেশন ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হচ্ছে মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ প্রযুক্তি এবং প্রাক-নিবন্ধিত বায়োমেট্রিক ডেটা। ফলে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমেই যাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।

দুবাই সরকারের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প ‘ট্রাভেল উইথাউট বর্ডারস’-এর অংশ হিসেবে প্রবর্তিত এই ব্যবস্থা ভ্রমণ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এর মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের পুরো প্রক্রিয়াটি কার্যকরভাবে ও নির্বিঘ্নে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। নতুন এই ব্যবস্থায় একসাথে ১০ জন পর্যন্ত যাত্রী ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।

এআই-পরিচালিত এই স্মার্ট প্রক্রিয়ায় প্রয়োজন হচ্ছে না কোনো পাসপোর্ট কাউন্টার বা স্মার্ট গেটের। এমনকি যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষারও প্রয়োজন নেই। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে যাত্রীর সময় সাশ্রয় হচ্ছে এবং ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া হয়ে উঠছে আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।

বিশ্বের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোও এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকে আরও নিরাপদ ও সুবিধাজনক করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মতে, এই প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন শুধু যাত্রীদের জন্যই নয়, বরং বিমানবন্দরের কর্মীদের কাজের চাপও কমিয়ে দেবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার ভবিষ্যতে বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায়ও বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। সাইবার নিরাপত্তা এবং ডেটা প্রাইভেসি নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এবং নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিমানবন্দরগুলোকে আরও উন্নত ও নিরাপদ করা হচ্ছে।

এই প্রযুক্তির সাফল্য যদি ব্যাপকভাবে প্রমাণিত হয়, তবে এটি অন্যান্য দেশের বিমানবন্দরেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই উদ্যোগটি শুধু দুবাই নয়, বরং গ্লোবাল ভ্রমণ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।

No comments found