close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

দু'র্নী'তি'র বিরুদ্ধে ক্যামেরাই সবচেয়ে শক্তিশালী অ'স্ত্র — সচেতনতার ডাক ডিএমপি কর্মকর্তার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা শামীম হাসান মনে করেন, দেশের দুর্নীতি রোধে সাধারণ মানুষের হাতে থাকা ক্যামেরা বা মোবাইল ফোনই হতে পারে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। নাগরিক সচেতনতায় প্রযুক্তির ব্যবহারের আহ্বান জা..

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতি একটি বড় সামাজিক ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত। রাষ্ট্রীয় বা বেসরকারি—সব পর্যায়েই এর শিকড় বিস্তৃত। এমন প্রেক্ষাপটে, প্রশাসনিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি নাগরিক অংশগ্রহণকে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মূল ভিত্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তা শামীম হাসান।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন—
“দেশে দুর্নীতিবিরোধী সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এখন ক্যামেরা। প্রত্যেকে ক্যামেরা অন রাখুন, ভিডিও করুন।”

তার এই বক্তব্য ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, সাধারণ নাগরিকদের মাঝেও সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এটি এক যুগান্তকারী বার্তা।

প্রযুক্তির যুগে ‘ভিজুয়াল প্রমাণ’ সবচেয়ে কার্যকর

শামীম হাসান তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে বলেছেন, শুধুমাত্র প্রশাসনের প্রচেষ্টা নয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সত্যিকার বিজয়ের জন্য প্রয়োজন সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ।

তথ্যপ্রযুক্তির এই সময়ে হাতে হাতে স্মার্টফোন থাকায় প্রতিটি নাগরিকই এখন ‘নাগরিক সাংবাদিক’। তিনি বলেন—
“আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন বা ক্যামেরা দুর্নীতিবাজদের মুখোশ খুলে দিতে পারে। আপনি ভিডিও করুন, সংরক্ষণ করুন এবং প্রয়োজন হলে প্রচার করুন।”

তার মতে, বহু সময় দুর্নীতির খবর কাগজে আসে, কিন্তু প্রমাণের অভাবে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু একটি ভিডিও প্রমাণ দিতে পারে অকাট্য সাক্ষ্য, যা আদালতে বা প্রশাসনিক তদন্তে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

নাগরিক সচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান

শামীম হাসান আরও বলেন, এখন সময় এসেছে মানুষকে নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে এসে নিজ দায়িত্বে সচেতন হতে। “আপনার চোখ, আপনার ক্যামেরা—এই দুইই এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রহরী,”—এমন মন্তব্য করে তিনি সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করেছেন যেন তারা আশপাশে কোনো অন্যায়, অনিয়ম বা ঘুষ-সংশ্লিষ্ট কার্যকলাপ দেখলেই সেটি ধারণ করেন এবং যথাযথভাবে তুলে ধরেন।

তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা যদি সকলে একযোগে সচেতন হই, দুর্নীতিবাজদের আর কোনো জায়গা থাকবে না। প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণও যদি প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তবে এই দেশের চিত্র বদলাতে সময় লাগবে না।”

শামীম হাসানের এই বার্তা শুধু একটি সামাজিক পোস্ট নয়—বরং একটি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের ডাক। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, দুর্নীতিবিরোধী যুদ্ধে প্রশাসন একা নয়; প্রয়োজন সামাজিক অংশগ্রহণ এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার। আর এ যুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে, নাগরিকদের হাতে থাকা একটি সচল ক্যামেরা।

نظری یافت نشد