উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলজুড়ে বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা এবং সাতক্ষীরা জেলায় ভারি বর্ষণ ও দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নিম্নচাপটি খেপুপাড়া উপকূল দিয়ে অতিক্রম করছে এবং এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪২.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে যে, আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব জানিয়েছেন, নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে উঠেছে—কিছু স্থানে ২২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। অমাবস্যা ও নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রামসহ ১৬টি উপকূলীয় জেলা এবং নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ২-৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
পটুয়াখালী নৌ-বন্দরে সব ধরনের ছোট নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মহিপুরের মৎস্য ট্রলারগুলো নিরাপদে রয়েছে এবং রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে আগুনমুখা নদীর পানি ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রেখেছে এবং সামুদ্রিক ও উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থা ও স্থানীয় জনগণ একত্রিত হয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা প্রদান করছে এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে পরিস্থিতির সর্বশেষ আপডেট প্রচার করা হচ্ছে।
		
			


















