দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ দেশের শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা পালিত শুক্রবার..

Imran Hossain avatar   
Imran Hossain
****

আগামীকাল শুক্রবার দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার শতাধিক গ্রামে ঈদুল আযহা উদযাপন করা হবে। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা হানাফী মাযহাবের অনুসরণ করে হজের পরের দিন ঈদুল আযহা পালন করে থাকেন।

দরবার শরীফের অনুসারীরা দীর্ঘ দুইশত বছর ধরে এভাবে ঈদুল আযহা পালন করে আসছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মির্জাখীল দরবার শরীফের মুখপাত্র মোহাম্মদ মছউদুর রহমান।

দরবার সূত্র জানায়, মির্জাখীল দরবার শরীফের খানকাহ মাঠে সকাল সাড়ে নয়টায় ঈদুল আযহার প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। হজরত শাহ জাহাঁগীর শেখুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর শমসুল আরেফীন (ক.) এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন (ক.) এর তত্ত্বাবধানে উনারই জানশীন হজরত ইমামুল আরেফীন ড. মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান সাহেব নামাজের ইমামতি করবেন। একই সময় দরবার শরীফের অনুসারীরা সারাদেশে ঈদের জামাত আদায় করে পশু কুরবানি দেবেন।

মির্জাখীল দরবার শরীফের সূত্র মতে, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডাঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ,  চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, চর বরমা, কেশুয়া, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি, আনোয়ারার বরুমচড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসখামা, কাটাখালী, রায়পুর, গুজরা, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান, চুনতী এবং সীতাকুন্ডের মাহমুদাবাদ, বারিয়াঢালা, বাঁশবাড়িয়া, সলিমপুর, মহালংকা, মিরসরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ি, ফেনী, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ঢাকা, মুহাম্মদপুর, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, মনোহরদী, মঠখোলা, বেলাব, আব্দুল্লাহনগর, কাপাসিয়া, চাঁদপুর জেলার মতলব, সিলেট, হবিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা জেলার কয়েকটি গ্রামসহ শতাধিক গ্রামের বহুসংখ্যক অনুসারী শুক্রবার ঈদুল আযহা উদযাপন করবে।

এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যাংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার অনেক গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরাও একইদিন ঈদুল আযহা উদযাপন করবেন।

আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউপি সদস্য আবু জাফর চৌধুরী বলেন, আনোয়ারা উপজেলার প্রধান ঈদ জামাত সকাল আটটার সময় তৈলারদ্বীপ মাজার শরীফ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। একইসময় বরুমচড়া ইউনিয়নের ফুলগাজী চৌধুরী বাড়ী ও মুহুরী বাড়ীতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

বাঁশখালীতে সকাল আটটার সময় কালীপুর সাহেব বাড়ীতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শাহ আলম মৌলুদ।

ঈদ উদযাপনের বিষয়ে মির্জাখীল দরবার শরীফের মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, 'আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে বিগত দুই শতাধিক বছর ধরে ইয়াউমুল আরাফাহ বা পবিত্র হজ দিবসের পরের দিনই পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করে আসছি। 

তিনি আরও বলেন, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ হতে চাঁদের অবস্থান এবং হজ্জ পালনের খবর সচিত্র অবগত হয়ে তথা এই বছর শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ প্রদত্ত হজের খুতবা সরাসরি পবিত্র আরাফাতের মসজিদে নামিরা হতে দেখে-শুনেই দেশ-বিদেশে সিলসিলায়ে আলীয়া জাঁহাগীরিয়া, মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীগণ শুক্রবার ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের পর আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি সম্পন্ন করবেন।'

לא נמצאו הערות


News Card Generator