close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
আগামীকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এই সম্মেলনে ডিসিরা তাদের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ডিসিরা নতুন করে যে ক্ষমতা চাইছেন, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
জেলা পুলিশের এসিআর দেওয়া।
কনস্টেবল নিয়োগ কমিটিতে তাদের প্রতিনিধি রাখা।
তাদের অধীনে বিশেষ ফোর্স গঠন।
অপরাধ ডেটাবেইস ও এনআইডি ডেটাবেইস সার্ভারে প্রবেশাধিকার।
উপজেলা পরিষদের কর্মচারী নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা।
উপজেলা চেয়ারম্যানের বদলে উপজেলার সরকারি বাসা বরাদ্দের ক্ষমতা।
এছাড়াও, ফরিদপুরের ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা উপজেলা পরিষদের কর্মচারীদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা ডিসিদের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। তার যুক্তি হলো, এর মাধ্যমে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে এবং কর্মচারীদের জবাবদিহি ও দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা যাবে।
পুলিশের এসিআর নিয়ে একাধিক ডিসি প্রস্তাব দিয়েছেন, যেখানে তারা পুলিশ প্রবিধান ১৯৪৩-এর ‘৭৫/এ’ ধারা কার্যকর করার কথা বলেছেন। এই ধারায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাজ নিয়ে মূল্যায়ন করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধার ডিসি চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বলেন, জেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তাদের আচার-আচরণ ও জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিফলিত হয় এমন বার্ষিক প্রতিবেদন বিধানসংবলিত পুলিশ প্রবিধানের ধারাটি কার্যকর না থাকায় প্রায়ই সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
সাতক্ষীরার ডিসি মোস্তাক আহমেদ তার প্রস্তাবে লিখেছেন, জেলা পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ডিসি হলেও তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ওপর কোনো দাপ্তরিক নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই বাহিনীর কর্মকর্তাদের কাজ নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়টি ডিসিদের নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।
জানা গেছে, সামরিক শাসনকালে পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ডিসিদের প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়টি অকার্যকর হয়ে যায়। এটি চালু করা নিয়ে পুলিশের আপত্তি রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করেন, জেলা প্রশাসন নির্বাহী বিভাগের অধীন, পুলিশও তেমন। একটি নির্বাহী বিভাগ কেন আরেকটি নির্বাহী বিভাগের কাছে জবাবদিহি করবে। এই জবাবদিহি হওয়া উচিত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি অথবা বিচার বিভাগের কাছে।
এই সম্মেলনে ডিসিদের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে এবং আশা করা যাচ্ছে, এর মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনে আরও গতিশীলতা আসবে।
Aucun commentaire trouvé



















