close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ডিসেম্বরেই নির্বাচন সম্ভব, ফা'ট'ল ধরাতে সক্রিয় দেশি-বিদেশি চ'ক্র: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের মতে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে কোনো বাধা নেই। সরকারবিরোধী ঐক্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।..

ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত এবং তাতে কোনো বাস্তবিক বাধা নেই—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। শনিবার রাজধানীর কাকরাইলস্থ একটি মিলনায়তনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, “আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে নির্বাসন, নির্যাতন ও কারাবরণ সত্ত্বেও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে এসেছি। অথচ এখন আমাদের সেই আন্দোলনকেই রাষ্ট্রবিরোধী তকমা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে কলঙ্কিত করতে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”

সালাহউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেন, “যারা নির্বাচন চায়, গণতন্ত্র চায়, গণমানুষের অধিকার চায়—তাদেরকেই দেশবিরোধী বলার অপচেষ্টা হচ্ছে। কারণ সরকার এবং তাদের মদদপুষ্ট গোষ্ঠী চায় না, বাংলাদেশ একটি আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র হয়ে উঠুক। তারা চায় এ দেশ সবসময় বিদেশনির্ভর থাকুক। এজন্যই তারা রাজনৈতিক নেতাদের শুধু নয়, আমাদের সন্তানদের পর্যন্ত দেশদ্রোহী প্রচারণার অংশ করে তুলছে।”

তিনি বলেন, “আমার ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, তার সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছে আমার পরিবার। আমি শুধু একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে না, একজন মানুষ হিসেবেও শিকার হয়েছি রাষ্ট্রীয় প্রতিহিংসার।”

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও দাবি করেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী যে ঐক্য, সেটির ভিতরে ফাটল ধরাতে উঠেপড়ে লেগেছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা। একাধিক গোষ্ঠী চায়, বর্তমান সরকার যেন ফ্যাসিবাদী পদ্ধতিতে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে যায়, আর সে জন্যই তারা কৌশলে বিভেদ সৃষ্টি করছে আন্দোলনরত রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ভেতরে।

তিনি বলেন, “নির্বাচনের কথা এলেই সংশয় তৈরি করেন প্রধান উপদেষ্টা। সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, আপনি যে সংস্কার চান, তা জাতিকে মানতেই হবে—এই দাবি কোথা থেকে আসে?”

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও জানান, “আগামী ২ জুন প্রধান উপদেষ্টা বিএনপিকে আলোচনার জন্য ডাকেছেন। আমরা স্পষ্ট করে বলছি—ডিসেম্বরের বাইরে যাওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন সম্ভব—শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেই।”

তিনি মনে করেন, এই মুহূর্তে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে গণতান্ত্রিক উত্তরণের উপর। সেজন্য প্রয়োজন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, এবং সেটা হতে হবে সঠিক সময়ে—এই বছর ডিসেম্বরেই।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ। বক্তারা সবাই সরকারের বিরুদ্ধে গঠনমূলক সমালোচনা ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ওপর গুরুত্ব দেন।

নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে প্রতিদিনই। সালাহউদ্দিন আহমদের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

कोई टिप्पणी नहीं मिली