২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন ডা. জুবাইদা রহমান। এরপর প্রায় দেড় দশক পেরিয়ে গেলেও তিনি আর দেশে ফিরতে পারেননি। দীর্ঘদিন লন্ডনে ছিলেন স্বামী ও একমাত্র কন্যা জায়মা রহমানের সঙ্গে।
সাম্প্রতিক সময়ে অবস্থান পরিবর্তনের এক ধাপে এবার দেশে ফিরছেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হয়ে আগামী ৪ মে রোববার বিমানের একটি ফ্লাইটে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফ্লাইটটি ৫ মে সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছাবে।
এর আগে খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে যান। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণের পর ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকেই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। চার মাসের চিকিৎসা শেষে এবার তিনি দেশে ফিরছেন।
২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমান ও তাঁর মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ঢাকার একটি আদালত জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এই সাজা স্থগিত করা হয়।
ডা. জুবাইদা রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন এবং পরে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জন করে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। পরবর্তীতে শিক্ষা ছুটিতে লন্ডনে গিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদের ছুটি শেষে চাকরিতে না ফেরায় তাঁকে বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সিলেটে জন্ম নেওয়া ডা. জুবাইদা রহমান প্রয়াত রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলীর কন্যা। মাহবুব আলী বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এরশাদ সরকারের সময় যোগাযোগ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী তাঁর চাচা।
তারেক রহমানের সঙ্গে জুবাইদা রহমানের বিবাহ হয় ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। পরের বছরই তিনি সরকারি চিকিৎসা সেবায় যোগ দেন এবং পরবর্তীতে পারিবারিক প্রয়োজনে বিদেশে পাড়ি জমান।
প্রয়োজনে এ প্রতিবেদনটি সংবাদে ব্যবহারের উপযোগী করে আরও সংক্ষিপ্ত বা প্রসারিত করে দিতে পারি। আপনি কি চান সেটি সংবাদ শিরোনামে প্রকাশযোগ্য সংস্করণে পরিণত করা হোক?