close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
দিনাজপুরের সদর উপজেলায় নিজের বাড়ির উঠানে বসে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে এক কিশোরী। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পশ্চিম শিবরামপুর কোম্পানি মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, পুলিশের বাৎসরিক প্রশিক্ষণের (ফায়ারিং স্কোয়াড) সময় ছোড়া একটি গুলি ওই কিশোরীর পায়ে এসে লেগেছে।
আহত কিশোরীর নাম শাহনাজ পারভীন (১৫)। সে দিনাজপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্থানীয়রা জানান, আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের পাশে অনুষ্ঠিত ফায়ারিং প্রশিক্ষণের সময় একটি গুলি তার পায়ে লাগে।
গুলিবিদ্ধ কিশোরীর বর্ণনা
শাহনাজ জানান, “বাড়ির উঠোনে চেয়ারে বসে ছিলাম। হঠাৎ ডান পায়ের হাঁটুর ওপর কিছু এসে লাগে। পড়ে দেখি, জায়গাটা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। গুলিটা মাটিতে পড়ে থাকতে দেখি।”
পরিবারের অভিযোগ
শাহনাজের বাবা জালালউদ্দিন বলেন, “মেয়েকে নিয়ে প্রথমে আনসার ভিডিপি অফিসে যাই। গুলিটা দেখানোর পর তারা ছবি তোলে এবং পরে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনার পর তারা আমাদের বাড়িতে আসে। মেয়ের চিকিৎসার জন্য এক হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “এটা আজ আমার মেয়ের পায়ে লেগেছে, কাল কারও মাথায় লাগতে পারে। ফায়ারিংয়ের আগে মাইকিং করা হয়নি। এই উদাসীনতা খুবই দুঃখজনক।”
প্রশাসনের বক্তব্য
দিনাজপুর আনসার ভিডিপি কমান্ড্যান্ট নূরুজ্জামান বলেন, “আমাদের ফায়ারিং স্কোয়াড সমতল থেকে ৫ ফুট নিচে। এটি ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। এত দূরে গুলি যাওয়ার কথা নয়। বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। আমরা তদন্ত করছি।”
দিনাজপুর পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, “এটি একটি দুর্ঘটনা। ফায়ারিং প্রশিক্ষণের সময় ১১০ জন পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এত দূর গুলি যাওয়ার অভিযোগ আমরা তদন্ত করে দেখছি।”
চিকিৎসা ও বর্তমান অবস্থা
দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রাকিবুল ইসলাম বলেন, “গুলির আঘাতে কিশোরীর হাঁটুর ওপরে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। সেলাই দেওয়া হয়েছে, তবে সে এখন আশঙ্কামুক্ত।”
নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ
এ ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ফায়ারিং প্রশিক্ষণের সময় সঠিক সতর্কতা না নেওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
कोई टिप्पणी नहीं मिली



















