close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ধলিয়া বহুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনীতে শহীদ মিনারে জুতা পরে অনুষ্ঠান পরিচালনা: শিক্ষাবিদদের প্রতিক্রিয়া..

Shazzadul Alam Khan  avatar   
Shazzadul Alam Khan
শহীদ মিনারের বেদিতে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের সবাই জুতা পায়ে বেদিতে উঠে অনুষ্ঠান পালন করেন। সাধারণভাবে, শহীদ মিনার বাঙালি জাতির ভাষা আন্দোলনের স্মারক এবং সেখানে প্রবেশের..

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ধলিয়া বহুলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬-এর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি বিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। চার দশক পর প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে ফেরার আনন্দে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মিলিত হন। তবে অনুষ্ঠানের একটি দিক ঘিরে এখন আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে, যা জনমনে প্রশ্ন জাগছে।

অনুষ্ঠানের মূল পর্বটি বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের বেদিতে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের সবাই জুতা পায়ে বেদিতে উঠে অনুষ্ঠান পালন করেন। সাধারণভাবে, শহীদ মিনার বাঙালি জাতির ভাষা আন্দোলনের স্মারক এবং সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে সম্মান প্রদর্শন একটি অবিচ্ছেদ্য বিষয়। দেশের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, ২১শে ফেব্রুয়ারি বা অন্য যেকোনো দিনে শহীদ মিনারে ওঠার সময় জুতা খোলাই সম্মান প্রদর্শনের একটি মৌলিক রীতি।

অনেকে মনে করছেন, এই ঘটনাটি শহীদদের প্রতি অসম্মান এবং সংস্কৃতির প্রতি অসত আচরণের বহিঃপ্রকাশ। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, এত শিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ প্রাক্তন ছাত্রদের কাছ থেকে এমন অসচেতন আচরণ কিভাবে সম্ভব হলো?

ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল আমিন মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “শহীদ মিনারের বেদিতে জুতা পরে ওঠা কখনই কাম্য নয়। এটা আমাদের জাতীয় চেতনার বিরুদ্ধে যায়। জুতা খুলে শহীদ মিনারে ওঠাই সকলের উচিত ছিল।”

ভালুকা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুর রউফ বলেন, “আমি ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনেক অনুষ্ঠান দেখেছি-সবখানে সবাই জুতা খুলেই বেদিতে ওঠেন। এমন ঘটনায় আমরা মর্মাহত। শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা আমাদের সবার দায়িত্ব।”

অনেকেই বলছেন, এমন একটি স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজন করলেও শহীদ মিনারের পবিত্রতা বজায় রাখা উচিত ছিল।

যেকোনো স্মারক বা জাতীয় চেতনার স্থান ব্যবহারে আমাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত। শুধুমাত্র ২১শে ফেব্রুয়ারিতেই নয়, সারা বছরজুড়ে শহীদ মিনারকে যথাযোগ্য সম্মান দেখাতে হবে। জাতীয় স্থাপনার প্রতি অসাবধানতা অবমাননার সামিল হতে পারে, এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে স্কুল প্রশাসন ও আয়োজকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া দরকার।

Hiçbir yorum bulunamadı