close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
ধানমন্ডি ৩২-এ উত্তেজনার নতুন অধ্যায়: সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের স্ট্যাটাস নিয়ে আলোড়ন


সম্প্রতি ঢাকা শহরের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় ঘটে যাওয়া উত্তেজনাকর ঘটনা নিয়ে এখন সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুকে এ-সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিক এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইলিয়াস হোসাইন। স্ট্যাটাসটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে ওঠে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়ে যায়।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ইলিয়াস হোসাইন লেখেন, “ভাইয়েরা আমার, ৩২ নম্বরে একটা ইটও যেন অবশিষ্ট না থাকে।” তার এই মন্তব্যটি প্রতিবাদের শক্তি ও ক্ষোভের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল দিন কয়েক আগে, যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক অনলাইন বক্তব্য ঘোষণা করা হয়। শেখ হাসিনার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিশেষত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, শেখ হাসিনা যদি কোনো বক্তব্য দেন, তবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় ছাত্র-জনতাদের বিশাল এক মিছিল ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। সন্ধ্যার পরে ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় ব্যাপক জনসমাগম ঘটে এবং সেখানে নানা ধরনের প্রতিবাদী স্লোগান শোনা যায়। ছাত্র-জনতাদের উত্তেজনা এতটাই বাড়ে যে, রাত ৮টার দিকে তারা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর শুরু করে।
প্রথমে শাহবাগ থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে বিকাল থেকেই ছাত্র-জনতারা ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানান, মিছিলটি গতি পায় রাতের দিকে এবং সেখানে প্রবল উত্তেজনা দেখা যায়।
এদিকে, ইলিয়াস হোসাইনের স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দেয়। তার পোস্টটি উদ্বেগ এবং ক্ষোভের প্রকাশ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, যা বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে বিভক্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কিছু মানুষ এটি প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে সেটিকে অতিরিক্ত উত্তেজনা হিসেবে বিচার করছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, তবে এখনো পর্যন্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই উত্তেজনা কখন শেষ হবে এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভবনটি কি সত্যিই ভেঙে দেওয়া হবে? সময়ের সাথে সাথে দেখা যাবে, এ ঘটনায় আরও কি নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়।
No comments found