close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ চাঁদাবাজি চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার, ১৫ লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার..

Jahid sumon Crime Correspondent avatar   
Jahid sumon Crime Correspondent
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ভাটারা এলাকা থেকে চার চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে। তারা এক সরকারি কর্মকর্তাকে ব্ল্যাকমেইল, আটক এবং মারধর করে ১৫ লক্ষাধিক টাকা আদায় করেছিল।..

জাহিদ হাসান 

রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এদের বিরুদ্ধে এক সরকারি কর্মকর্তাকে ব্ল্যাকমেইল, আটক এবং মারধর করে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন: নাজমুন নাহার সুখী (২৮), কামরুন নাহার আঁখি (৩২), রুমানা ইসলাম স্মৃতি (৫০) এবং মো. সাফাত ইসলাম লিংকন (২৫)। অভিযানে পুলিশ ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করেছে।

 

এ বিষয়ে ভাটারা থানার সূত্রে জানানো হয়েছে, গ্রেফতারকৃত কামরুন নাহার আঁখি পূর্বে ভিকটিমের পরিচিত ছিলেন এবং গত কয়েক মাসে তাকে ৫ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। গত ১৯ এপ্রিল, ভিকটিমকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভার কেয়ার হাসপাতালের সামনে থেকে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে গিয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে আটক করা হয়। সেখানেই তাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় এবং এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। প্রাণে বাঁচতে ভিকটিম আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ৬০ লাখ ২৩ হাজার ৮০ টাকা সংগ্রহ করে তাদের দেয়।

 

পুলিশ জানায়, এই চক্রটি সমাজের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের টার্গেট করে তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং এক পর্যায়ে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের টাকা আদায় করত।

 

ডিএমপি আরও জানায়, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশের গোয়েন্দা দল প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির সদস্যদের চিহ্নিত ও তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে। শনিবার রাতের অভিযানটি সফল হওয়ায় চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে চাঁদার টাকাও উদ্ধার করা হয়।

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে যে, তারা ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের ভয় দেখিয়ে এই ধরনের অপরাধে জড়িত ছিল। তারা জানান, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের শিকাররা সামাজিক বা পেশাগত অবস্থান থেকে বিপদে পড়ে গিয়ে তাদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন।

 

ডিএমপি এই ঘটনায় আরও জানিয়েছে যে, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া, চক্রের পলাতক সদস্যকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নগরবাসীকে সতর্ক থাকতে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

ডিএমপি বলেছে, তারা নগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং সকল ধরনের অপরাধ দমনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

No comments found


News Card Generator