close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি বেঁধে দিল সরকার

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্ধারিত ফি অমান্য করলে বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।..

দেশজুড়ে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় এ রোগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ আনতে এবার নির্ধারিত ফি চালু করল সরকার। সোমবার (১৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে ডেঙ্গু পরীক্ষার সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে।

প্রথম প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান। এতে বলা হয়, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি প্রথম দফায় সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়, যার মেয়াদ ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে পরিস্থিতির বিবেচনায় সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী ৩১ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে নতুন এই ফি নির্ধারণ।

সরকারি হাসপাতালে এখন থেকে এনএস১ ফর ডেঙ্গু, আইজিজি ফর ডেঙ্গু ও আইজিএম ফর ডেঙ্গু পরীক্ষার সর্বোচ্চ ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জনগণের স্বার্থে এ ফি রাখা হয়েছে অত্যন্ত কম এবং সহনীয়।

অন্যদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য স্পষ্টভাবে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে:

  • এনএস১, আইজিজি ও আইজিএম ফর ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি: সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা

  • সিবিসি (CBC) পরীক্ষার ফি: সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে—কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিক নির্ধারিত ফির চেয়ে এক টাকাও বেশি নিতে পারবে না। যদি কেউ অতিরিক্ত টাকা আদায় করে, তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এই নির্দেশনা অমান্য করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতীতে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে, এবার সরকার সেই অনিয়ম ঠেকাতে আগেভাগেই পদক্ষেপ নিল। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর মতো মহামারি রোগে পরীক্ষার ব্যয়জনিত কারণে অনেকেই চিকিৎসা নিতে পিছিয়ে যান। তাই পরীক্ষার ব্যয় কমিয়ে আনা হলে সাধারণ মানুষ দ্রুত পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী হবেন, যা দেশের মোট সংক্রমণের হার কমাতে সহায়ক হবে।

এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিয়মিতভাবে হাসপাতালগুলো মনিটরিং করা হবে। কোনোভাবে যেন সাধারণ রোগীরা হয়রানির শিকার না হন—তা নিশ্চিত করা হবে।

এই সিদ্ধান্ত সাধারণ জনগণের জন্য এক বড় স্বস্তি। চিকিৎসা খরচ যেভাবে বাড়ছে, সেখানে ডেঙ্গুর মতো রোগের পরীক্ষায় ফি নির্ধারণ করা মানে—স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য করা। এটি সরকারের জনবান্ধব সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডেঙ্গু পরীক্ষায় নির্ধারিত ফি চালু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি সাহসী এবং জনবান্ধব পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে যেমন সাধারণ মানুষের খরচ কমবে, তেমনি বেসরকারি হাসপাতালগুলোও আর খোলামেলা অনিয়ম করতে পারবে না।

कोई टिप्पणी नहीं मिली