close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

দেবহাটায় ছাত্রশিবিরের মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
দেবহাটায় ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে, যেখানে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গাছের চারা বিতরণ করা হচ্ছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরার দেবহাটা উত্তর শাখার সখিপুর ইউনিয়নের উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযানের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫ তারিখে সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির দেবহাটা উত্তর শাখার সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান রোকন। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা উত্তর শাখার সাহিত্য সম্পাদক রুহুল আমিন, সখিপুর ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইমরান হোসেন সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

প্রধান অতিথি রোকনুজ্জামান রোকন অনুষ্ঠানে বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব তৈরির পাশাপাশি সবুজ, সুজলা-সুফলা বাংলাদেশ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতি বছরের মতো এবারও মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি করছে শিবির।” তিনি অন্যান্য ছাত্র ও সামাজিক সংগঠনগুলোকেও পরিবেশবান্ধব ও জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথি রুহুল আমিন বলেন, “ছাত্রশিবির, ‘জুলাই চেতনা’কে ধারণ করে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যেখানে থাকবে না দুর্নীতি, বৈষম্য ও পরিবেশ বিপর্যয়। আজকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নেরই অংশ।” 

এই মাসব্যাপী কর্মসূচির আওতায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট ও জনবহুল এলাকায় ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ করা হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি কেবলমাত্র পরিবেশের উন্নয়নে নয়, বরং স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এই ধরনের কর্মসূচি পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হতে পারে।

সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে এসব কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করলে তাদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা তৈরি হবে, যা ভবিষ্যতে পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Aucun commentaire trouvé