close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

দেবহাটায় মায়ের পরকীয়ায় শিশু আরমান হত্যা মামলায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: avatar   
দেবহাটায় মায়ের পরকীয়ায় শিশু আরমান হত্যা মামলায় কবর থেকে লাশ উত্তোলনের অভিযানে নির্বাহী অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেট অভিযানের নেতৃত্ব প্রদান করেন..

শেখ আমিনুর হোসেন, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার দেবহাটায় মায়ের পরকীয়ায় শিশু আরমান হত্যা মামলায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল '২৫) বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য ভাতশালা এলাকা থেকে এ লাশ তোলা হয়। এ অভিযানের নেতৃত্ব প্রদান করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আসাদুজ্জামান। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবহাটা থানার এসআই তাজুল ইসলাম জানান, শিশু আরমানের মৃত্যুর ঘটনায় তার পিতা আব্দুর রহিম বাদি হয়ে ১০ মার্চ দেবহাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, শিশু আরমানের পিতা ও মাতার সাথে বিরোধ চলছিল। ওই সময় শিশু আরমান তার মায়ের সাথে নানার বাড়িতে ছিল। অপরদিকে শিশুর মা সোনালী আক্তার লিজার সাথে সখিপুর এলাকার আরিয়ান (আল-আমিন) এর অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। নিহত শিশুর মা পূর্বের স্বামী আব্দুর রহিমকে তালাক দিয়ে আরিয়ানের সাথে নতুন সংসার শুরু করতে চাচ্ছিল। কিন্তু তাদের পথের কাঁটা হয়ে যায় ২ বছর ৭ মাস বয়সী শিশু আরমান। এতে করে শিশুর মা তার নিজ সন্তানকে বিষাক্ত খাবার দিয়ে হত্যা করে বলে দবি জানিয়ে বাদি এজাহার দায়ের করেন। ঘটনার দিন শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় শিশুটির মৃত্যু হয়। এদিকে শিশুর দাফন করার সময় তার নাক, মুখ দিয়ে রক্ত বের হওয়ায় সন্ধেহের সৃষ্টি হয়। পরে আরমানের মা সোনালী আক্তার লিজাকে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রথমে স্বীকার না করলেও পরবর্তীতে মৌখিক ভাবে হত্যার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় ৮ দিন পর শিশুর পিতা আব্দুর রহমান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় শিশুর মা সোনালী আক্তার লিজা ও সখিপুর এলাকার আরিয়ান (আল-আমিন) কে আসামী করা হয়। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আসাদুজ্জামান জানান, শিশু আরমানের মৃত্যুর পর তার পিতা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় সু-বিচারের স্বার্থে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কবর থেকে শিশু আরমানের মরদেহ উত্তেলন করা হয়েছে। যেহেতু সে সময় ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করা হয়েছিল। সে কারনে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
 

لم يتم العثور على تعليقات


News Card Generator