close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ড. ইউনূস পরাজিত হলে আমরাও পরাজিত হবো: চরমোনাই পীর

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান নিপীড়ন নিয়ে এবার মুখ খুললেন চরমোনাই পীর। বললেন, “আপনি যদি পরাজিত হন, তবে আমরাও পরাজিত হবো।” জাতীয় নির্বাচন, কালো টাকা, এবং রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে চরমোনাই পীরের স্পষ্ট বার্তা ত..

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান “মানসিক নির্যাতন” ও রাজনৈতিক বাধার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি রেজাউল করীম, যিনি সাধারণ মানুষের কাছে চরমোনাই পীর নামে পরিচিত। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “যদি ড. ইউনূস পরাজিত হন, তবে আমরাও পরাজিত হবো।”

রোববার (২৫ মে) রাজধানীতে যমুনা ফিউচার পার্ক সংলগ্ন একটি স্থানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে চরমোনাই পীর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব মন্তব্য করেন।

“আপনাকে ন্যায়ের রাষ্ট্র গঠনের জন্যই এনেছিলাম”

চরমোনাই পীর বলেন, “আমরা আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে দেশের জনগণের প্রয়োজনে রাজনীতিতে এনেছিলাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সুন্দর রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক, মানসিক ও প্রশাসনিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা আমরা গভীরভাবে অনুভব করছি।”

তিনি আরও বলেন, “ড. ইউনূসকে সহজভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, যা আমাদের চোখে অত্যন্ত পরিস্কার। আমরা তাঁকে জানিয়ে দিয়েছি—আপনি যদি এই সংগ্রামে হার মানেন, তাহলে আমাদের প্রত্যেকের এই আন্দোলনও পরাজিত হবে। কিন্তু মাঝপথে আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার সুযোগ নেই।”

নির্বাচন নিয়ে সতর্কতা ও আশঙ্কা

জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গে এসে চরমোনাই পীর কড়া সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, “যদি প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার না করা হয়, তাহলে সামনে জাতীয় নির্বাচন কালো টাকা এবং পেশিশক্তির প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে। তখন আগের মতো কলঙ্কিত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে—যা দেশের জনগণ চায় না, আমরাও চাই না।”

তিনি আরও জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও এমনই প্রভাব দেখা যাচ্ছে, যা জনগণের বিশ্বাস নষ্ট করছে। “আমি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অনুরোধ করেছি—কালো টাকা ও সন্ত্রাসী প্রভাব ঠেকাতে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।”

২০২৬ সালের নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আশ্বাস

নির্বাচনের সময়কাল নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কারও মতে আগামী ডিসেম্বরে, কেউ বলছেন মার্চে ভোট হতে পারে। তবে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেছেন যে, “২০২৬ সালের ৩১ জুনের পরে তাঁরা আর থাকবেন না।”

এই বক্তব্যের মাধ্যমে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক রূপরেখা কিছুটা হলেও পরিষ্কার হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিতর্কিত বিষয়ে ‘সতর্ক সিদ্ধান্ত’ নেওয়ার আহ্বান

শেষে চরমোনাই পীর বলেন, “জাতি এখন নানা ধরনের বিভাজন ও বিতর্কে বিভ্রান্ত। যেসব বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়, সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অতিমাত্রায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ একটি ভুল সিদ্ধান্ত গোটা জাতিকে ভুল পথে ঠেলে দিতে পারে।”


 

চরমোনাই পীরের বক্তব্য স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয়—ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক উদ্যোগ এখন নানা বাধার সম্মুখীন। এ পরিস্থিতিতে নেতারা তাঁকে একা ফেলে যেতে নারাজ। তারা মনে করেন, এই সংগ্রাম শুধু একজন ব্যক্তির নয়, এটি একটি বৃহত্তর ন্যায়ের লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে হার মানা মানেই পুরো আদর্শের পরাজয়।

没有找到评论