শতবর্ষী কাঠের সাঁকো: ফটিকছড়ির ১২ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ফটিকছড়ির হালদা নদীর উপর শতবর্ষী কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন ২২ হাজার মানুষ যাতায়াত করে, যা তাদের জীবনের ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণ।চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হালদা নদীর উপর নির্মিত শতবর্ষী কাঠের সাঁকোটি ১২ গ্রামের মানুষের জন্য একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাঁশ এবং কাঠ দিয়ে তৈরি এই সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২২ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। নদীর এপারে নারায়ণহাট বাজার এবং ওপারে ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দশবারোটি গ্রামের প্রায় বিশ হাজার মানুষের বসবাস।হালদা নদী নারায়ণহাট বাজারের কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে। এই নদীর উপর দিয়ে একটি পাকা সেতুর অভাবে স্থানীয় জনগণ তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালাতে বাধ্য হচ্ছেন পুরনো কাঠের সাঁকো দিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে এই সাঁকোটি নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা হিসেবে টিকে থাকলেও এটি এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রতিবার বর্ষাকালে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে, ফলে নতুন করে নির্মাণের প্রয়োজন হয়।স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, 'এই সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে আমাদের সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয়। বিশেষ করে বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়।' স্কুল শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই সাঁকো ব্যবহার করে স্কুলে যাতায়াত করে, যা তাদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, 'আমরা বহুবার কর্তৃপক্ষের কাছে পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।'প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকলেও এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকা সেতু নির্মাণ হলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে এবং মানুষ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে।অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে স্থানীয় জনগণ একটি স্থায়ী এবং নিরাপদ সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে ভবিষ্যতে আরও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।ট্যাগস: চট্টগ্রাম, ফটিকছড়ি, অবকাঠামো, হালদা নদী, সেতু
close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
সংস্কারে এত বাধা কেনো,প্রশ্ন গ্রামবাসীর..
Hiçbir yorum bulunamadı