চট্টগ্রামে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার পলাতক আসামি সিরাজ উদ্দিনকে চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে ধরা পড়লো সিরাজ।..

চট্টগ্রামে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি সিরাজ উদ্দিন অবশেষে র‌্যাবের জালে ধরা পড়েছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় দায়ের হওয়া মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এই আসামিকে শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭। সংস্থাটির পক্ষ থেকে সোমবার (৩০ জুন) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া সিরাজ উদ্দিন (২৬) মূলত নোয়াখালী জেলার চরকাজী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে নোয়াখালীর চরজব্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)/৩০ ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নং-০৫, তারিখ ১৩ মে ২০২৫)। মামলাটি দায়ের হওয়ার পর থেকেই সে গা ঢাকা দেয় এবং পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

র‌্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে যে সিরাজ উদ্দিন চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার অধীনে ইছাখালী এলাকায় অবস্থান করছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করে শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। র‌্যাবের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, গ্রেপ্তারের সময় সিরাজ উদ্দিন আত্মগোপনে থাকলেও তার গতিবিধি নিবিড়ভাবে নজরদারির মধ্যে ছিল।

গ্রেপ্তার পরবর্তী প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সিরাজ উদ্দিনকে আইনি হেফাজতে নোয়াখালীর চরজব্বার থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলাটির তদন্তের স্বার্থে এবং আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরবিচারে কাজ করে যাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিরাজ উদ্দিন এলাকায় পরিচিত হলেও মামলার পর থেকে সে পুরোপুরি গা ঢাকা দেয়। এমনকি পরিবারের সঙ্গেও তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। র‌্যাবের অভিযান ও সফল গ্রেপ্তারের ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তির অনুভূতি বিরাজ করছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলাগুলোতে দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে স্থানীয় মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এই ধরণের অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত না করলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা বাড়বে। র‌্যাব ও পুলিশের তৎপরতা প্রশংসনীয়, তবে আদালতের কার্যক্রমও দ্রুত হওয়া জরুরি।

প্রসঙ্গত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের অপরাধে দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। তাই সিরাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

এই ঘটনায় ফের একবার প্রমাণিত হলো, অপরাধী যতই চতুর হোক না কেন, আইনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সুযোগ নেই। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এই ধরনের গ্রেপ্তার অভিযান অপরাধ দমনে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Inga kommentarer hittades


News Card Generator