চট্টগ্রাম নগরীতে এক অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যখন সোমবার গভীর রাতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ ওরফে রানা এই হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরীর বন্দর থানার ঈশানমিস্ত্রি ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গভীর রাতে আওয়ামী লীগের একদল নেতাকর্মী ঝটিকা মিছিল বের করে, যেহেতু দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ আছে, খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ সেখানে যায়।'
তিনি আরও বলেন, 'কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে পুলিশ সদস্যরা সেখানে অভিযান করছিল। এ সময় একজন পুলিশ সদস্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।'
আহত এসআই আবু সাঈদ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সেনাবাহিনী এলাকাজুড়ে যৌথ অভিযান শুরু করে।
পুলিশের সূত্র মতে, এ পর্যন্ত ২১ জনকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী ও অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফতাব আহমেদ জানান, পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং অভিযানের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এই ধরনের সহিংসতা রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ঘটনাগুলি রাজনৈতিক দলগুলির মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলছে। স্থানীয় জনগণ এ ধরনের সহিংসতার অবসান চায় এবং তারা আশাবাদী যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।