অভিযান চালালো কারা?
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের মোহাম্মদ জোন, মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে এই উচ্ছেদ পরিচালিত হয়। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে একের পর এক উচ্ছেদ কার্যক্রম।
"অবৈধ দোকান আর নয়। নিয়মিত মনিটরিং চলবে"
– মো. আসলাম সাগর, এসি, ট্রাফিক মোহাম্মদপুর জোন
বাসিন্দাদের দীর্ঘশ্বাসে স্বস্তি
উচ্ছেদের পর যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে এলাকাবাসী। কাঁটাসুর এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মো. জামাল বলেন,
"শুধু একবার উচ্ছেদ করলেই হবে না, নিয়মিত নজরদারি চাই। যাতে আবার ফুটপাথ দখল না হয়।"
যানজটের মূল কারণ কী ছিল?
চ্যানেল 24 এর ১৮ এপ্রিলের একটি প্রতিবেদন বলেছিল:
-
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বেঁড়িবাধ পর্যন্ত ৫০০ ফুট সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে হাজারেরও বেশি অবৈধ দোকান।
-
প্রশস্ত সড়কের ওপর ৩-৪ সারি দোকান, আর গাড়ি চলে মাত্র এক লেনে!
-
রাস্তার মাঝখানে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তুলছেন চালকরা।
-
অটোরিকশা-ইজিবাইক চালকদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। পুলিশের কথাও শোনেন না তারা।
ট্রাফিক পুলিশের করুণ অভিজ্ঞতা
এসি মো. আসলাম সাগর জানান,
"অটোরিকশা চালকরা এতটাই বেপরোয়া যে আমাদের একজন টিআইয়ের হাত পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছে। আমিও একবার চোট খেয়েছি।"
তিনি আরও বলেন,
"স্কুল টাইমে আসাদগেট ও ইকবাল রোড পুরোপুরি জ্যামে আটকে যায়। ২০-২৫টা স্কুলের শিক্ষার্থীরা অটোতে যাতায়াত করে। পাশাপাশি টাউনহল বাজারের ভিড়ও জ্যামের আরেক কারণ।"
চ্যানেল 24-এর অনুসন্ধানী রিপোর্ট যে প্রশাসনের চোখ খুলে দিয়েছে, সেটি পরিষ্কার। তবে প্রশ্ন রয়ে যায়—এই উদ্যোগ কি দীর্ঘস্থায়ী হবে? নিয়মিত নজরদারি ছাড়া কি আবার ফুটপাথ দখল হয়ে যাবে না?