close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

চিরিরবন্দরে বেড়েছে কোরবানির মাংস কাটার খাটিয়া।

এনামুল মবিন (সবুজ) avatar   
এনামুল মবিন (সবুজ)
কোরবানির ঈদ হচ্ছে ত্যাগ ও মহিমার ঈদ। দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। অনেকেই এরই মধ্যে কোরবানির পশু ক্রয় করেছেন।..

আবার অনেকেই ক্রয় করার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দা, বঁটি, ছুরি, চাকু, চাপাতির পাশাপাশি কদর বৃদ্ধি পেয়েছে মাংস কাটার খাটিয়ার।

দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা রানীরবন্দরে দেখা গেছে, খাটিয়ার দোকানে মানুষ দরদাম করছেন। দাম মিলে গেলে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে তেঁতুল কাঠের তৈরি এসব খাটিয়া। 

খাটিয়া বিক্রেতা মোঃ আনিছুর রহমান জানান, খাটিয়ায় সাধারণত তেঁতুল কাঠই ব্যবহার করা হয়। কারণ এ কাঠ অপেক্ষাকৃত শক্ত। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে তেঁতুল গাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না। যদিও পাওয়া যায় তার দাম অত্যন্ত চড়া। যার কারণে তেঁতুল গাছ দিয়ে তৈরি করা খাটিয়ার দাম একটু বেশি নেয়া হয়। খাটিয়া সব কাঠ দিয়ে হয় না। এটি তৈরি করতে হয় এমন কাঠ দিয়ে যাতে চাপাতির (মাংস কাটার যন্ত্র) কোপে কাঠের গুঁড়া না ওঠে আসে। কোরবানির মাংস কাটার জন্য তৈরি করা এসব খাটিয়ার অধিকাংশই তেঁতুল গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি। কারণ তেঁতুল কাঠে সহজে চাপাতির কোপ বসবে না। তাই কাঠের গুঁড়াও উঠবে না। ফলে মাংস নষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই। এছাড়াও এন্ট্রি কড়াই, কাঁঠাল ও বেল গাছের কাঠসহ ব্যবহার করা হয় নানা ধরনের গাছ। ছোট ছোট গোলাকৃতির টুকরো তৈরি করা হচ্ছে। আর এ গোল টুকরাগুলোই কুরবানির পশুর মাংস কাটার খাটিয়া হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। 

আরেক খাটিয়া ক্রেতা মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন জানান, পশুর মাংস কাটার কাজে কাঠের এ খাটিয়া ব্যবহার করে থাকেন কসাইরা। ঈদুল আজহা এলে খাটিয়ার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। কাজের সুবিধার্থে বাজার থেকে ক্রয় করে নিয়ে যান সাধারণ মানুষও। আর ক'দিন পরেই কোরবানির ঈদ। মানুষের চাহিদা বিবেচনা করে ক্ষুদ্র ও মৌসুমী বিক্রেতারা এসব খাটিয়ার পসরা নিয়ে বসেছেন চিরিরবন্দরসহ রানীরবন্দরে বিভিন্ন সড়কের ধারে। অস্থায়ীভাবে দোকান বসিয়ে বিক্রি হচ্ছে এসব খাটিয়া। বিভিন্ন মাপের ও দামের এসব খাটিয়া সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কোরবানির ঈদে অতীব প্রয়োজনীয় এ জিনিসটি। 

রানীরবন্দরের বিক্রেতা মোঃ আস্তানুল হক জানান, প্রতিবছর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বিভিন্ন স'মিল থেকে এমন ছোট ছোট কাঠের গুঁড়ি কেনেন। এরপর সেগুলো মাংস কাটার উপযোগী করে নির্দিষ্ট মাপে টুকরো করে খাটিয়া তৈরি করেন তারা।

Tidak ada komentar yang ditemukan