close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

চীনের নতুন ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান: রহস্যময় তিন ইঞ্জিনের আছড়ে পড়া

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিশ্বের অধিকাংশ স্টেলথ ফাইটার জেট একক বা দুটি ইঞ্জিন ব্যবহার করলেও চীন তার নতুন ষষ্ঠ প্রজন্মের J-36 ফাইটার জেট তৈরি করেছে তিনটি ইঞ্জিন নিয়ে। এমন এক অবাক করা নকশ
বিশ্বের অধিকাংশ স্টেলথ ফাইটার জেট একক বা দুটি ইঞ্জিন ব্যবহার করলেও চীন তার নতুন ষষ্ঠ প্রজন্মের J-36 ফাইটার জেট তৈরি করেছে তিনটি ইঞ্জিন নিয়ে। এমন এক অবাক করা নকশা যা এখন বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের ২৭ ডিসেম্বর, চীনের চ্যাংডু এয়ারক্রাফট করপোরেশন সফলভাবে আকাশে উড়িয়ে নিয়েছে এই ত্রিমুখী ইঞ্জিনযুক্ত J-36 যুদ্ধবিমান, যা বিশ্বের অন্য কোনো দেশের হাতে দেখা যায়নি। J-36 ফাইটারটির নকশায় আছে ত্রিভুজাকৃতি ডানা, কিন্তু এর খুবই অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর লেজ নেই। এটি রাডারকে প্রতারণা করতে সক্ষম, এবং সেই সঙ্গে ত্রিচক্র ইঞ্জিনের ব্যবহারে রহস্য ছড়াচ্ছে বিশ্বে। অতীতে, যুক্তরাষ্ট্র ষষ্ঠ প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটারে লেজহীন নকশা ব্যবহার করলেও তিনটি ইঞ্জিন ব্যবহার করেনি, কারণ তাদের শক্তিশালী ইঞ্জিনগুলো এমন ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। কিন্তু চীন তিনটি ইঞ্জিন ব্যবহার করেছে—এটা তাদের প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতাও প্রতিফলিত করছে, তবে অন্যদিকে এটি নতুন প্রযুক্তির পথে এক বিপ্লবী পদক্ষেপ হতে পারে। বিশ্বে প্রথমবারের মতো একটি আধুনিক যুদ্ধবিমান তিনটি ইঞ্জিন নিয়ে আকাশে উড়ল, আর সেই সঙ্গে এটি অতি-গতি এবং শক্তির খরচের প্রশ্নও উত্থাপন করছে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, তিনটি WS-10 ইঞ্জিন ব্যবহারের মাধ্যমে চীন তার যুদ্ধবিমানকে উচ্চ গতিতে এবং অধিক শক্তি উৎপাদনে সক্ষম করছে, যা সামরিক শক্তির এক নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। J-36-এর উন্নত প্রযুক্তি এবং জটিল নকশা নিশ্চিতভাবেই পৃথিবীজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে, এবং এই নতুন যুদ্ধবিমানটি কীভাবে বিশ্বের সামরিক ভারসাম্যকে পাল্টে দেবে, তা এখনো রহস্যে ঢাকা।
Keine Kommentare gefunden