close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

চীনের বন্দরে ইরানের আড়াই কোটি ব্যারেল তেল, নিষেধাজ্ঞার ফাঁদে জটিল পরিস্থিতি!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চীনের বিভিন্ন বন্দরে ছয় বছর ধরে আটকে থাকা ইরানের আড়াই কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল নিয়ে নতুন সংকটে পড়েছে দেশটি। ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা
চীনের বিভিন্ন বন্দরে ছয় বছর ধরে আটকে থাকা ইরানের আড়াই কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল নিয়ে নতুন সংকটে পড়েছে দেশটি। ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে এই বিপুল পরিমাণ তেল চীনে পৌঁছানোর পরও বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। তেলের বাজারমূল্য ও চীনের অবস্থান বর্তমানে চীনের বন্দরে আটকে থাকা তেলের বাজারমূল্য প্রায় ১৭৫ কোটি মার্কিন ডলার। ইরানের প্রধান তেল ক্রেতা চীন ইরানি তেল কম দামে কিনে তেল শোধনাগারগুলোতে বিশাল সাশ্রয় করছে। তবে চীনের দাবি, তারা কোনো একতরফা নিষেধাজ্ঞা মানে না। বিশেষ ছাড়ের ইতিহাস ও সংকটের শুরু ২০১৮ সালে বিশেষ ছাড়ের আওতায় এই তেল চীনে সরবরাহ করা হলেও ২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হলে তা আটকে যায়। চীনা কাস্টমস এই তেল খালাসের অনুমতি দেয়নি। পূর্ব চীনের ডালিয়ান এবং ঝুশান বন্দরে মজুত থাকা এই তেল চিহ্নিত হয় ইরানি তেল হিসেবেই। ভাড়া ও আর্থিক চাপ চীনের ট্যাংক পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পিডিএ এনার্জি এবং সিজিপিসি এই তেল মজুত রাখার জন্য ইরানের কাছ থেকে ৪৫ কোটি ডলার ভাড়া দাবি করছে। এ নিয়ে ইরানি কর্মকর্তারা এবং চীনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। বিক্রয় ও পরিবহনে চ্যালেঞ্জ ইরান যদি এই তেল বিক্রি করতে চায়, তাহলে সেটি প্রথমে ট্যাংক থেকে সরিয়ে সাগরে নিয়ে নতুন কাগজপত্র তৈরি করতে হবে। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে এটি অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়েছে। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি বেইজিং সফর করেছেন এবং কিছু অগ্রগতি অর্জনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে নিষেধাজ্ঞার ফলে ভবিষ্যতে তেল রপ্তানি নিয়ে আরও সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। চীনে আটকে থাকা এই তেল ইরানের জন্য শুধু আর্থিক ক্ষতির কারণ নয়; বরং এটি নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় নতুন চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি করেছে।
Комментариев нет