সত্যজিৎ দাস:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পদোন্নতির সাক্ষাৎকার দিতে আসা সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বরখাস্তের দাবি তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (০৪ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য কার্যালয়ে এই উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
কুশল বরণ চক্রবর্তী জানান,তার পদোন্নতির সাক্ষাৎকার ছিল বেলা তিনটায়। কিন্তু দুপুরের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবির ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে মব সৃষ্টি করে তাকে হেনস্তা করে। তিন ঘণ্টা ধরে তিনি অবরুদ্ধ থাকার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রশাসনের গাড়িতে করে বাড়িতে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য,কুশল বরণ চক্রবর্তীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ এবং সনাতনী জাগরণ জোটের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন,“আমি যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে চেয়েছিলাম,তার কোনো সুযোগ পাননি। মব আমাকে প্রশ্ন করতে দেয়নি, বরং অবজ্ঞাসূচক আচরণ করেছে। সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনও আমাকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দেন।”
একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে,শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা হাবিবুল্লাহ খালেদ এবং তার অনুসারীরা উচ্চস্বরে কথা বলছেন,আর শিক্ষক কুশলবরণ চক্রবর্তী তাদের সামনে রয়েছেন। ভিডিওতে উপাচার্য এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন,তবে নির্বিকার অবস্থায় ছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি সামনে আসার পর এবং ছাত্রদের দাবির কারণে পদোন্নতি বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে।
কুশলবরণ চক্রবর্তী এছাড়া আলিফ হত্যা মামলার কোনো অংশীদার নয় বলে উল্লেখ করেছেন এবং ঘটনার সময় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছিলেন।
উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা বিফল হয়েছে। এদিকে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি,ঘটনা এখনও তদন্তাধীন।