'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
ময়মনসিংহ নগরীর শম্ভুগঞ্জ জিকেপি কলেজে এক ছাত্রীকে পছন্দ করাকে কেন্দ্র করে দুই বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কলেজ চত্বর উত্তপ্ত থাকার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কলেজ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, এই সংঘাতের মূলে ছিল উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে কেন্দ্র করে দুই শিক্ষার্থীর ‘পছন্দ’।
-
দ্বন্দ্বের কারণ: কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীকে পছন্দ করেন। একইসঙ্গে, প্রথম বর্ষের আরেকজন শিক্ষার্থীও তাকে পছন্দ করেন। এই নিয়েই দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথমে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
-
সংঘর্ষের শুরু: এই দ্বন্দ্বের জের ধরে সোমবার সকাল ১০টার দিকে কলেজ চত্বরে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই বর্ষের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু করে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যেকার এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব দ্রুতই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
-
সীমানাপ্রাচীর ভাঙচুর: পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করলে স্থানীয় এলাকার কিছু বাসিন্দা কলেজের টিনশেডের সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং ভাঙচুর চালায়।
-
পুলিশের হস্তক্ষেপ: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ দ্রুত ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকেল ৪টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, "একজনকে দুজন ভালোবাসে। সকাল থেকে কলেজ চত্বরে দুজনের মধ্যে কে কার আগে ভালোবেসেছে এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়।"
জিকেপি কলেজের অধ্যক্ষ সুলতানা পারভীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কলেজ পরিচালনা কমিটি জরুরি সভা করেছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. শিবিরুল ইসলাম জানান, এক মেয়েকে দুজন পছন্দ করার বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল এবং পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।
