চাঁদপুর মোহনায় প্রতিদিন যে অসংখ্য মানুষ ঘুরতে আসে, তাদের চোখে আজ এক পরিচিত মুখ—ছোট্ট আশরাফ। ছয় মাস আগেও যে সামান্য খাবারের জন্য মানুষের কাছে হাত বাড়িয়ে দাঁড়াত, সেই আশরাফ এখন নিজের পরিশ্রমে বদলে ফেলেছে তার পুরো জীবন।
এক সময় মানুষ তাকে দয়া করে কিছু খাওয়াতো, আর সে লজ্জা-হাসিতে তা গ্রহণ করত। কিন্তু আজ সব বদলে গেছে। এখন সে নিজ উদ্যোগে বাদাম বিক্রি করে প্রতিদিন আয় করছে প্রায় এক হাজার টাকা। ছোট হলেও এই আয় তার কাছে অনেক বড়—এ আয় তাকে শুধু খাবারই দেয় না, দেয় আত্মবিশ্বাস, দেয় দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি।
তার মুখে সবসময় লেগে থাকা হাসি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সরল-স্নেহমাখা কণ্ঠে সে আগত মানুষদের সঙ্গে কথা বলে, আর সেই কথায় ঝরে পড়ে তার জীবনের নতুন আশার আলো।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—তার আত্মসম্মান। কেউ ছবি তুলতে চাইলে সে বিনয়ের সঙ্গে না বলে দেয়। কারণ আশরাফ চায় না কেউ তাকে করুণা বা দয়ার চোখে দেখুক। সে নিজের পরিশ্রমে নিজের পরিচয় তৈরি করছে—এ পরিচয়ই তার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান।
স্থানীয়রা বলেন, আশরাফ এখন সবার প্রিয়। তাকে দেখে অনেকে শিখছেন কীভাবে দৃঢ় মনোবল ও ইচ্ছাশক্তি মানুষকে বদলে দিতে পারে। সমাজে যেখানে নেতিবাচক গল্পই বেশি শোনা যায়, সেখানে আশরাফের মতো একটি উদাহরণ সবার মনেই নতুন বিশ্বাস জন্মায়—
ইচ্ছা থাকলে পথ বদলানো যায়, ভাগ্যও বদলে যায়।
আশরাফ আজ চাঁদপুর মোহনায় স্বাবলম্বিতার নতুন প্রতীক—সমাজের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত.



















