close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

চাবি প্রতীক চেয়ে নিবন্ধন আবেদন করল ,জনতার দল

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চাবি প্রতীক চেয়ে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করল জনতার দল। সৎ ও শিক্ষিত নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে চায় দলটি।..

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাব ঘটাতে চায় ‘জনতার দল’। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় গুণগত পরিবর্তন এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি সৎ, শিক্ষিত ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব তৈরি করাই তাদের মূল লক্ষ্য। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হয়েছে দলটি। রবিবার (২২ জুন) রাজধানীর নির্বাচন ভবনের প্রাপ্তি ও জারি শাখায় দলটি নিবন্ধনের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দিয়েছে।

দলটির পক্ষ থেকে আবেদনপত্র জমা দেন আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম কামাল এবং সদস্য সচিব আজম খান। তাদের সাথে দলটির অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

আবেদনের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শামীম কামাল জানান, “আমরা নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সকল শর্ত পূরণ করেই আবেদন করেছি। আমাদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে, যা আইন অনুযায়ী গঠন করা হয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।”

তিনি আরও বলেন, আমরা দেশের রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতে চাই। গত ৫৪ বছরে সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা তৈরি হয়নি, কারণ রাজনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়ন করা হয়নি। সেই সংস্কার আমাদের প্রয়োজন, যাতে আগামী প্রজন্ম একটি স্থিতিশীল, আদর্শ ভিত্তিক রাজনীতি দেখতে পায়।

শামীম কামাল মনে করেন, “দেশে যদি সৎ, শিক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক মানুষদের সংগঠিত করা যায়, তবে সুস্থ ধারার রাজনীতি সম্ভব। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।

এ সময় সদস্য সচিব  জম খান বলেন, “আমরা যে আদর্শ ও স্বপ্ন নিয়ে ‘জনতার দল’ প্রতিষ্ঠা করেছি, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম ধাপই হলো দলের নিবন্ধন। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আজ আমরা নির্বাচন কমিশনে আবেদন জমা দিয়েছি।”

তিনি আরও জানান, এই দল গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো এমন একটি শক্তি গড়ে তোলা, যারা নিজের স্বার্থে নয়, দেশের এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করবে। আমরা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চাই, যেখানে রাজনীতি হবে সত্যিকারের জনগণের কথা বলার জায়গা।

এদিকে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা চাবি প্রতীককে নিজেদের রাজনৈতিক দর্শনের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। চাবি প্রতীকের মাধ্যমে তারা বোঝাতে চায়— দেশের ভবিষ্যতের দ্বার উন্মোচনের চাবি থাকবে সাধারণ মানুষের হাতে। আর সেই মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে চায় জনতার দল।

রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য দলটি তরুণদের বেশি করে সম্পৃক্ত করতে চায়। তাদের পরিকল্পনায় রয়েছে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মী তৈরি এবং রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে হলে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত কিছু কঠোর শর্ত পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে— নির্দিষ্টসংখ্যক জেলা ও উপজেলা কমিটি, সম্মেলনের দলিল, গঠনতন্ত্র, আর্থিক হিসাব ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথিপত্র জমা দেওয়া। জনতার দল দাবি করেছে, তারা ইতোমধ্যেই এসব শর্ত পূরণ করেছে।

এখন দেখার বিষয় হলো, নির্বাচন কমিশন তাদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধনের অনুমতি দেয় কি না। তবে একথা নিশ্চিত যে, রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন বার্তা দিতে মাঠে নেমেছে জনতার দল, যারা পরিবর্তনের কথা বলছে, আদর্শের রাজনীতির কথা বলছে, এবং ভবিষ্যতের নেতৃত্ব গড়ার সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

Nessun commento trovato