close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ছয় ইস্যুতে কঠোর সরকার: দেশি-বিদেশি অপপ্রচার থেকে ইজতেমা সংকট, আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে আসছে চূড়ান্ত পদক্ষেপ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সরকারবিরোধী দেশি-বিদেশি অপপ্রচার, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে তাবলিগের দুই পক্ষের উত্তেজনা, পোশাক ও ঔষধশিল্পের বিশৃঙ্খলা এবং পার্বত্য অঞ্চলে সশস্ত্র গ্রুপের অপতৎপরতা মোকা
সরকারবিরোধী দেশি-বিদেশি অপপ্রচার, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে তাবলিগের দুই পক্ষের উত্তেজনা, পোশাক ও ঔষধশিল্পের বিশৃঙ্খলা এবং পার্বত্য অঞ্চলে সশস্ত্র গ্রুপের অপতৎপরতা মোকাবিলায় আজ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবে সরকার। এ ছাড়াও থার্টিফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কার্যক্রমে সফলতা আনতেই আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আজ রবিবার দুপুর আড়াইটায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সরকারের ১১ জন উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। কী থাকছে আলোচ্যসূচিতে? সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে ছয়টি প্রধান ইস্যুতে করণীয় চূড়ান্ত হবে। এর মধ্যে রয়েছে: দেশি-বিদেশি অপপ্রচার: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে চলমান অপপ্রচার এবং আন্তর্জাতিক মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সরকার ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে একাধিক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। বিশ্ব ইজতেমা সংকট: তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদময় পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের চিন্তাভাবনা রয়েছে। দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান, বিক্ষোভ এবং সড়ক অবরোধ পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, এপিবিএন ও পুলিশের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। গার্মেন্টস ও ঔষধশিল্পে বিশৃঙ্খলা: দেশের প্রধান রপ্তানি খাত পোশাকশিল্পে চলমান শ্রমিক অসন্তোষ সরকারের অন্যতম উদ্বেগের বিষয়। পরিকল্পিতভাবে শিল্পকে অস্থিতিশীল করার পেছনে কিছু শ্রমিক নেতা ও মালিকদের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নীতিনির্ধারকরা। একই পরিস্থিতি ঔষধশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বিরাজমান। পার্বত্য অঞ্চলের সশস্ত্র গ্রুপের তৎপরতা: পার্বত্য এলাকায় সশস্ত্র গ্রুপের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ আসতে পারে। থার্টিফার্স্ট নাইট নিরাপত্তা: আসন্ন থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনে বিশৃঙ্খলা রোধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ইতোমধ্যেই প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান: দেশজুড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। দেশি-বিদেশি অপপ্রচার নিয়ে কঠোর অবস্থান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপদেষ্টা বলেন, “ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে। এসব বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের জবাব দিতে এবং দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।” পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও সম্প্রতি কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে একই উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং আন্তর্জাতিক মহলে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন। ইজতেমা সংকট: দুই পক্ষের উত্তেজনা চরমে বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিবাদ চরমে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ময়দান ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শিল্পে অস্থিরতা: পোশাক ও ঔষধশিল্পের বিপর্যয় শ্রমিক অসন্তোষ থামাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। সরকার মনে করছে, কিছু মালিকের দায়িত্বহীন আচরণ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক কোন্দল পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। পার্বত্য এলাকায় অপতৎপরতা রোধে কড়া পদক্ষেপ সরকার পার্বত্য অঞ্চলে সশস্ত্র গ্রুপের তৎপরতা বন্ধে কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আজকের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। সরকার মনে করছে, এসব ইস্যু দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। আজকের বৈঠক থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তা বাস্তবায়নে মাঠে নামবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।
لم يتم العثور على تعليقات