close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বশের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বড় জয়

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
অভিষেকেই দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট! কর্বিন বশের অলরাউন্ড দাপটে ৩২৮ রানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।..

বুলাওয়ে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে দাঁড়াতেই পারল না স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের চারদিনের মাথায় বিশাল ব্যবধানে ৩২৮ রানে হার মানল তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ইতিহাস গড়েছেন অভিষিক্ত অলরাউন্ডার কর্বিন বশ, যিনি একসাথে করলেন ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি এবং বল হাতে নিলেন ৫ উইকেট। অভিষেকে এমন অলরাউন্ড কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে দেখা যায় না বললেই চলে।

এই জয়ে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। বুলাওয়ের উইকেটে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ ছিল সফরকারীদের। কিন্তু কর্বিন বশের অনবদ্য পারফরম্যান্স টেস্টকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেয়।

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহে বড় অবদান রাখেন কর্বিন বশ। ৮ নম্বরে নেমে ১০৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে নিয়ে যান বিশাল স্কোরে। এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন ৫ উইকেট। এমন কীর্তি দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে আছে মাত্র তিনজনের নামের পাশে—জিমি সিনক্লেয়ার, অব্রে ফকনার ও কিংবদন্তি জ্যাক ক্যালিস। সেই তালিকায় অভিষেকেই নাম লিখিয়ে ফেললেন ৩০ বছর বয়সী কর্বিন বশ।

জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য ছিল পাহাড়সম—৫৩৭ রান। তবে সেই লক্ষ্য সামনে রেখে খুব একটা দৃঢ়তা দেখাতে পারেনি স্বাগতিক ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৮ রানে অলআউট হয়ে হেরে যায় চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনেই।

দ্বিতীয় ইনিংসে একমাত্র ফিফটি আসে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ব্যাট থেকে। ইনিংসের শুরুতেই ভয়ংকর হয়ে ওঠেন বশ। আগের দিন কাইটানোকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক সম্ভাবনা নিয়ে দিন শেষ করেছিলেন। পরের দিন প্রথম বলেই ফেরান নিকোলাস ওয়েলচকে। এরপর শন উইলিয়ামস ও মাসেকেসাকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন পাঁচ উইকেটের মাইলফলক।

এর আগে প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেন বশ। শুধু সেঞ্চুরি নয়, সঙ্গ দেন প্রিটোরিয়াসকে, যিনি ম্যাচের আসল নায়ক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। আরেক অভিষিক্ত এই ব্যাটার মাত্র ১৯ বছর বয়সেই খেলেছেন ১৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এই ইনিংস খেলার পথে তিনি গড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি ও দেড়শ ছোঁয়ার রেকর্ড।

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ৫৬৪ রান। জবাবে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় মাত্র ২৫৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যর্থতা ঝুলিতে জমা করে স্বাগতিকরা। এই ইনিংসে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভাইন কিছুটা চেষ্টা করলেও (৪৯), দলকে রক্ষা করতে পারেননি। মাসাকাদজা করেন ৫৭ রান, আর শেষে ব্লেসিং মুজারাবানি মারেন ঝড়ো ৩২ রান।

তবে শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডারদের দুরন্ত নৈপুণ্যের কাছে হার মেনে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে। সিরিজে ১-০তে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় টেস্টের অপেক্ষায় এখন প্রোটিয়ারা।

এই ম্যাচের সবচেয়ে বড় চমক নিঃসন্দেহে কর্বিন বশ। অভিষেকেই সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেটের অসাধারণ কীর্তি গড়ে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের আগমনী বার্তাটা জোরেশোরেই জানিয়ে দিয়েছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান পেস অলরাউন্ডার। আগামী ম্যাচে তিনি কী করেন, এখন সেই দিকেই চোখ ক্রিকেটবিশ্বের।

Inga kommentarer hittades


News Card Generator