দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গফুর বয়সের ভারকে উপেক্ষা করে গড়ে তুলেছেন আত্মনির্ভরশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। বয়স বাড়লেও কর্মস্পৃহা কমেনি তার। একাই ৫৬টি ছাগল পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন এবং হয়েছেন স্থানীয়দের অনুপ্রেরণার উৎস।
ছোট পরিসরে শুরু করলেও আজ আব্দুল গফুরের ছাগল পালনের উদ্যোগ তার প্রধান আয়ের উৎসে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সড়কের পাশে ও মাঠে ছাগলগুলো চরানোর পাশাপাশি তিনি সেগুলোর পরিচর্যায়ও সময় দেন। তাঁর কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের ফলেই এই সফলতা এসেছে।
স্থানীয়দের মতে, আব্দুল গফুর শুধু নিজের জন্যই নয়, বরং আশপাশের তরুণ ও বেকারদের জন্যও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আত্মনির্ভরশীলতার এমন উদাহরণ সমাজের অন্যান্য মানুষদেরও অনুপ্রাণিত করতে পারে।
বৃদ্ধ বয়সেও নতুন উদ্যমে কাজ করে যাওয়া আব্দুল গফুর মনে করেন, সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা পেলে তিনি তার ছাগল পালনের উদ্যোগকে আরও বড় পরিসরে নিয়ে যেতে পারবেন। বিশিষ্টজনরা মনে করেন, এ ধরনের উদ্যোগ যদি আরও ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আব্দুল গফুরের মতো মানুষরা প্রমাণ করেছেন—আত্মনির্ভরশীলতা কখনও বয়সের বাধায় আটকে থাকে না। তার মতো উদ্যোগ যদি দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে অনেক প্রবীণ ও বেকার মানুষ কর্মসংস্থানের নতুন পথ খুঁজে পেতে পারেন।