close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি ঘোষণার পরই পদত্যাগ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন কমিটির দাবি!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি ঘোষণার পর মাত্র একদিনের মধ্যেই ঘটল বড় ধরনের অঘটন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি ঘোষণার পর মাত্র একদিনের মধ্যেই ঘটল বড় ধরনের অঘটন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল কর্তৃক ঘোষিত নতুন কমিটি একধাপেই বিতর্কিত হয়ে ওঠে। ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে, আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রদের একাংশ জানায়, নতুন কমিটির ২৮ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। এতে শুধু পদত্যাগ নয়, তারা কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন কমিটি ঘোষণা করার আল্টিমেটাম দেন। পদত্যাগের কারণ ও নতুন কমিটি গঠনের দাবি যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুর রহিম আসাদ, যুগ্ম সদস্য সচিব মেহেদী হাসান নিরব, মেহেদী হাসান হাসিব ও মতিউর আরিফ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "বহিরাগতদের পদায়ন সহ্য করা হবে না। নতুন কমিটির আহ্বায়ক আরমান হোসাইন নোয়াখালীর বাসিন্দা, যিনি স্থানীয় ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না।" তাদের দাবি, আহ্বায়ক পদ থেকে আরমান হোসেনকে বাদ দিয়ে স্থানীয় ছাত্রদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। আবদুর রহিম আসাদ আরও জানান, “আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন কমিটি ঘোষণা না করলে, আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় ছাত্রদের নিয়ে আমরা নিজে থেকেই নতুন কমিটি গঠন করব।” নতুন কমিটির আহ্বায়কের প্রতিক্রিয়া এদিকে, নতুন কমিটির আহ্বায়ক আরমান হোসেন জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগকারী সদস্যদের সম্পর্কে আপাতত কোনো মন্তব্য করতে চান না। তবে, তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি দেওয়া হবে। নতুন কমিটির গঠন ও এর পরিণতি রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জন্য ২৩৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র আরমান হোসেনকে আহ্বায়ক, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাহেদুর রহমান রাফিকে সদস্য সচিব, রোকেয়া এন ইসলাম কলেজের ছাত্র সাইফুল ইসলাম মুরাদকে মুখ্য সংগঠক এবং ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র বায়েজিদ হোসাইনকে মুখপাত্র হিসেবে মনোনীত করা হয়। কিন্তু এর একদিনের মধ্যেই এমন বিস্ফোরক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায়, এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে কমিটি ভাঙনের মুখে। এই ঘটনাটি এখন পুরো জেলা তথা পুরো দেশেই আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন কমিটি ও পদত্যাগকারীদের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কি পথে নিয়ে যাবে, তা এখন দেখার বিষয়। এখন পর্যন্ত পদত্যাগকারী সদস্যরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা আন্দোলনের ভবিষ্যৎ রূপ কী হবে, সে সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কমিটি ভাঙা কিংবা নতুন কমিটি গঠনের দাবির মধ্য দিয়ে আন্দোলনের পরবর্তী দিক ঠিক হবে, তা আগামী কিছু দিনের মধ্যে স্পষ্ট হবে।
No se encontraron comentarios