বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বাড়ছে। এ লঘুচাপের কারণে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়া, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ সকাল ছয়টায় আরো ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরো ঘনীভূত হতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমীবায়ু ঢাকা বিভাগের পূর্বাঞ্চলসহ বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আজ ভোর ৬ টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বরিশালের খেপুপাড়ায় ৯১ মিলিমিটার।
ঢাকায় আজ সকাল ৬টায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। ঢাকায় বাতাসের গতি দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ১১ মিনিটে।
এই লঘুচাপের প্রভাব দেশের কৃষি এবং মৎস্য খাতেও পড়তে পারে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, এই ধরনের আবহাওয়া পরিস্থিতি আগামী কয়েকদিন ধরে চলতে পারে, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনজীবনে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
		
				
			


















