close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

বন্দরে নির্মাধাীন সাইলো পরিদর্শনে খাদ্য উপদেষ্টা- চালের দাম সহনশীল হয়ে আসছে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নতুন স্মার্ট কার্ডে ভুয়া টিসিবি কার্ড বাতিল, চাল-আটা বাজারে সুখবর, আর বন্দরে বিশাল গুদামের নির্মাণ! খাদ্য উপদেষ্টার মুখে উঠে এল দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে একগুচ্ছ বিস্ময়কর তথ্য। বিস্তারিত জানতে পড়ু..

বাম্পার ধানে কমছে চালের দাম, স্মার্ট কার্ডে আসছে শৃঙ্খলা

মাহফুজ জাহিদ
নারায়ণগঞ্জ, শনিবার:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানিয়েছেন, দেশে এবারের বোরো মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন হওয়ায় চালের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর ফলে চালের দাম এখন সহনীয় মাত্রায় এসেছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়।

শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নবনির্মিত বিশাল খাদ্য গুদাম (সাইলো) পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, “চালের দাম এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। কৃষকদের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভোক্তারা সাশ্রয়ে চাল কিনতে পারছেন—এটা বড় সফলতা।”

খাদ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, “টিসিবির কার্যক্রমকে আরও সুশৃঙ্খল করতে বহু ভুয়া কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এখন নতুনভাবে স্মার্ট কার্ড চালু করা হচ্ছে, যার ফলে টিসিবির মাধ্যমে প্রকৃত উপকারভোগীরা সহজেই খাদ্য সহায়তা পেতে পারবেন।”


 গমের আমদানি বাড়ছে, এক বেলা রুটি খাচ্ছেন মধ্যবিত্তরা

দেশে বছরে গমের চাহিদা ৭০ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে, অথচ স্থানীয় উৎপাদন মাত্র ১০ লাখ টন। এই বিরাট ঘাটতি মেটাতে প্রতিবছর প্রায় ৬০ লাখ টন গম আমদানি করতে হচ্ছে, যার বেশিরভাগই বেসরকারিভাবে আমদানি হয় বলে জানান উপদেষ্টা আলী ইমাম।

তিনি বলেন, “মধ্যবিত্ত শ্রেণির অনেক মানুষ এখন নিয়মিত একবেলা রুটি খান, যার ফলে গমের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। এই চাহিদা পূরণে সরকারকেও বড় ভূমিকা রাখতে হচ্ছে।”

সরকারি আমদানিকৃত গমের একটি বড় অংশ ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) কর্মসূচির মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। বাকি গম সরবরাহ করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কারাগার ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে।


চাল কমলে আটা দামও সহনীয় হবে

খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, “চালের দাম কমার প্রভাব সরাসরি আটার বাজারেও পড়বে। কারণ চালের সরবরাহ বেশি হলে আটা বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ায় তার উপর চাপ কমে যায়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই কৃষক যেন তার উৎপাদনের ন্যায্য মূল্য পায়। তাহলেই তারা আগামীতে ধান উৎপাদনে আগ্রহী হবে। একইসঙ্গে ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্যে খাদ্য পায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।”


বন্দরের সাইলো হবে দেশের অন্যতম বৃহৎ খাদ্য গুদাম

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অত্যাধুনিক খাদ্য গুদাম (সাইলো) নির্মাণ করছে সরকার। বন্দরের এই সাইলো হচ্ছে দেশের অন্যতম বড় ও অত্যাধুনিক গুদাম। এটি নির্মাণ শেষ হলে সরকার আরও দক্ষভাবে খাদ্য সংরক্ষণ ও বিতরণ করতে পারবে।

উপদেষ্টার সফরে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এবং বন্দর থানার অফিসার্স ইনচার্জ তরিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Nema komentara