প্রথম ইনিংসে ২৪৭ রানে অলআউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কা জবাবে তোলে ৪৫৮ রান। ফলে লঙ্কানদের বিপক্ষে ২১১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। শুরুতেই ধাক্কা খায় দল। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শুরু করলেও এনামুল হক বিজয় ফেরেন ১৯ রান করে। দুই টেস্টে চার ইনিংসে তার ব্যাটে এসেছে মাত্র ২৩ রান।
বিজয়ের আউটের পর চা-বিরতির আগে আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও (১২) ফিরে যান। এরপর শান্ত-মুমিনুল মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও সে আশাও টিকলো না বেশিক্ষণ। মাত্র ৩২ রানের জুটির পর মুমিনুল (১৫) স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর শান্তকেও (১৭) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
মাঝের সারিতেও ধস নামে। মুশফিকুর রহিম ২৬ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১১ রান করে ফিরে গেলে দিনের খেলার ইতি টানেন আম্পায়াররা। শেষ বিকেলে উইকেটে টিকে ছিলেন লিটন দাস। ৩৯ বল খেলে ১৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি।
তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে বল হাতে দারুণ ছিল বাংলাদেশের পারফরম্যান্স। ২ উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে দিন শুরু করা লঙ্কানরা দিন শেষে অলআউট হয় ৪৫৮ রানে। তাইজুল ইসলাম ৫টি ও নাঈম হাসান ৩টি উইকেট নেন। লঙ্কান ইনিংসে পাথুম নিশাঙ্কার ১৫৮, চান্দিমালের ৯৩ এবং মেন্ডিসের ৮৪ রানের ইনিংস ছিল উল্লেখযোগ্য।
এর আগে টস জিতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৪৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। সাদমানের ৪৬ ছিল সর্বোচ্চ। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন অসিথা ফার্নান্দো ও সোনাল দিনুশা।
তৃতীয় দিন শেষে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি শ্রীলঙ্কার হাতে। লিটন দাস চতুর্থ দিনে ব্যাট হাতে অতিমানবীয় কিছু না করলে ইনিংস ব্যবধানে হারতে পারে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথমটি ড্র হওয়ায়, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে সিরিজের বিজয়ী।