close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

বিষের বোতল হাতে প্রেমিকার দরজায় হাজির যুবক: ঘটনার পেছনের চাঞ্চল্যকর কারণ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার বাড়িতে বিষের বোতল হাতে প্রবাসীর ৮ ঘণ্টার অনশন, এলাকায় চাঞ্চল্য বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রাহুতপাড়া গ্রামে ঘটেছে এক অভিনব ঘ
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার বাড়িতে বিষের বোতল হাতে প্রবাসীর ৮ ঘণ্টার অনশন, এলাকায় চাঞ্চল্য বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রাহুতপাড়া গ্রামে ঘটেছে এক অভিনব ঘটনা। প্রেমিকার বিয়ের দাবি নিয়ে বিষের বোতল হাতে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করেন মরিশাস প্রবাসী যুবক শিশির ঢালী। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার বিবরণ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শিশির ঢালী, যিনি একই উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাসিন্দা, প্রেমিকার বাড়ির সামনে গিয়ে বিয়ের দাবিতে বসে পড়েন। জানা যায়, প্রায় দুই বছর ধরে তন্নী বালা নামের এক তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে তন্নী হঠাৎ ফেসবুকসহ সব যোগাযোগমাধ্যম থেকে শিশিরকে ব্লক করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার বাড়িতে উপস্থিত হন তিনি। শিশির ঢালীর কথায়, "আমি তন্নীকে ভালোবাসি। দুই বছর ধরে আমরা সম্পর্কে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ তন্নী আমার সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি চাই, তন্নী আমাকে বিয়ে করুক।" প্রতিবেশীদের মন্তব্য এলাকার মানুষ এই ঘটনাকে অত্যন্ত ব্যতিক্রমী হিসেবে দেখছেন। একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "এতদিন শুনেছি মেয়েরা ছেলেদের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে আসে। এবার দেখছি ছেলে মেয়ের বাড়িতে এসেছে। আমার মনে হয়, তাদের বিয়ে দেওয়া উচিত।" পারিবারিক প্রতিক্রিয়া শিশিরের বড় ভাই দাবি করেন, তন্নীর সমস্ত খরচ এতদিন ধরে তার ভাই বহন করে আসছেন। তাই তাদের মনে হয় তন্নীর উচিত শিশিরকে বিয়ে করা। তবে তন্নীর পরিবারের বক্তব্য ভিন্ন। তার মা-বাবা বলেন, "ওই ছেলে একতরফা ভালোবাসা নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে এমন করেছে। এভাবে বিয়ে দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।" তন্নী নিজেও প্রেমের সম্পর্ক থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সমাপ্তি অনশন চলাকালে এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ৮ ঘণ্টা পর স্থানীয় ইউপি সদস্য ও উভয় পরিবারের আলোচনার মাধ্যমে শিশিরকে জোর করে তার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনাটি নতুন এক ধরণের সামাজিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ছেলেটির ভালোবাসা সত্যিই গভীর কিনা, তা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুললেও, অনেকে মনে করেন, উভয়ের স্বার্থে একটি সমাধান হওয়া উচিত।
Inga kommentarer hittades


News Card Generator