close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে? ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের রহস্যজনক পরিকল্পনা ফাঁস..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েল-ইরানের যুদ্ধ অষ্টম দিনে গড়ালেও বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে ট্রাম্পের দিকে। যুক্তরাষ্ট্র কি সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে? চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে ইরানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলার অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প! কী ঘটতে ..

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনাকর সামরিক সংঘাত দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে এই রক্তক্ষয়ী লড়াই গড়িয়েছে অষ্টম দিনে, যেখানে প্রতিদিনই হতাহত হচ্ছে বহু মানুষ, ধ্বংস হচ্ছে ঘরবাড়ি, নষ্ট হচ্ছে অবকাঠামো। তবে এই যুদ্ধ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের সীমিত গণ্ডিতে আটকে নেই—এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে। আর সেই সঙ্গে সবার চোখ এখন নিবদ্ধ এক ব্যক্তির দিকে—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুদ্ধ এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে অনেকেই মনে করছেন—যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। কারণ, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং অন্যদিকে ইরান মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া একটি আঞ্চলিক পরাশক্তি। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই হয়ে উঠেছে আগামীর ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির নিয়ামক।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক বিবৃতিতে জানান,-প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করছেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ রয়েছে এবং তিনি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

এই বক্তব্য শুনে অনেকে একটু স্বস্তি পেলেও, এর আড়ালে চলছে অনেক বেশি নাটকীয়তা। কারণ একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ একটি বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করে।

সিবিএস নিউজ জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন। এ হামলা হতে পারে ইরানের সবচেয়ে নিরাপদ ও গোপন পারমাণবিক স্থাপনায়— ফোর্দো সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র।

ফোর্দো একটি ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা, যেটি এতটাই সুরক্ষিতভাবে নির্মিত যে, সাধারণ হামলায় ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা বিশেষ প্রযুক্তির ‘বাংকার-বাস্টার’ বোমাই এই ঘাঁটিকে ধ্বংস করতে সক্ষম।

যদিও হামলার পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছে, তবে হোয়াইট হাউসের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র বলছে—এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। কারণ, এ ধরনের হামলা শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, পুরো বিশ্বে এক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। এর জবাবে ইরানও যে চুপ করে বসে থাকবে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, তাহলে তা ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
ইরান একদিকে যেমন হিজবুল্লাহ ও হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গেও তার কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে প্রত্যক্ষ সংঘাত মানেই পুরো বিশ্বের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়া।

যদিও যুদ্ধের দামামা বাজছে, তবুও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন—আলোচনার শেষ সুযোগ এখনো রয়ে গেছে। ট্রাম্প নিজেও বলেন, “আমি চাই যুদ্ধ না হোক, কিন্তু আমেরিকার নিরাপত্তা ও মিত্রদের রক্ষা করা আমার অগ্রাধিকার।”

আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হয়তো ট্রাম্পের পক্ষ থেকে আসবে চূড়ান্ত ঘোষণা—আলোচনায় যাবে আমেরিকা, নাকি নামবে সরাসরি যুদ্ধে?

বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কূটনীতিক, সামরিক বাহিনী থেকে শুরু করে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পর্যন্ত সবাই এখন অপেক্ষায়—ট্রাম্প কী সিদ্ধান্ত নেন?

একটি ভুল সিদ্ধান্ত বদলে দিতে পারে গোটা বিশ্বের ভাগ্য। আর একটি বিচক্ষণ পদক্ষেপ ঠেকাতে পারে সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।

Ingen kommentarer fundet