দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এবারের আসরে পাঁচ বছরের জন্য মালিকানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোতে বিদেশি কোম্পানির অংশগ্রহণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি বোর্ড।
সোমবার (১ জুলাই) বিসিবির বোর্ড সভা শেষে পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু জানান, নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়াবে বিপিএলের পরবর্তী আসর। তিনি বলেন, “বিপিএল সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমরা ক্রাইটেরিয়া নির্ধারণ করব—যা অভিজ্ঞদের পরামর্শে চূড়ান্ত করা হবে। সেই শর্ত পূরণ করতে পারলে, সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী বিদেশিরাও দল নিতে পারবে।”
বুধবার (৩ জুলাই) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম। তিনি জানান, ড্রাফট আয়োজন করা হবে অক্টোবরের আগে নয়। তার ভাষায়, “আমরা একটা টাইমলাইন তৈরি করেছি। যদি আগস্টের মধ্যে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কাজ শেষ করতে পারি, তাহলে সেপ্টেম্বরে ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত করা যাবে। এরপর অক্টোবরের দিকে যেতে পারব ড্রাফটের দিকে।”
এবারের বিপিএলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসছে। গভর্নিং কাউন্সিলে থাকবে বাইরের সদস্য—অর্থাৎ, বিসিবির বাইরের অভিজ্ঞ ও পেশাদার ব্যক্তিরাও থাকবেন বিপিএল পরিচালনায়। একই সঙ্গে টুর্নামেন্টের কাঠামোকে আরও পেশাদার করতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে মালিকানা দেওয়া হচ্ছে দলগুলোর হাতে।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে মাঠে গড়াবে বিপিএল ২০২৫ আসর। বিসিবির পরিকল্পনা অনুযায়ী, এবার বিপিএল হবে আরও বেশি পেশাদার, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও আন্তর্জাতিক মানের এক ক্রিকেট উৎসব। এখন অপেক্ষা শুধু সবকিছু সময়মতো বাস্তবায়নের।