close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় মেয়ে ও বাবার বিরু দ্ধে ছাত্রদলের সাবেক নেতার মা মলা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ও তার বাবার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের এক সাবেক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ—বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখানের ‘প্রতিশোধ’ নিতে এই হ..

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের এক ছাত্রী এবং তার পিতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের জেরে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা পরিকল্পিতভাবে এই হয়রানিমূলক মামলা করেছেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী ৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, “আমাকে এবং আমার পরিবারকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও প্রতিহিংসামূলক।”

জানা গেছে, মামলার বাদী মো. আশিকুর রহমান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এবং একই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি ৪ মে ময়মনসিংহ দ্রুত বিচার আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন বেঞ্চ সহকারী মো. আজমত আলী।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বর্তমানে একই বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে ‘জুলাই আন্দোলনের হামলা’ মামলায় আসামি করা হয়েছে। তার পিতা, যিনি পেশায় একজন ট্রাকচালক, তাকেও একটি আলাদা রাজনৈতিক মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানান, “২০২১ সালের শেষ দিকে আশিকুর রহমানের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। কিছুদিন পর তিনি পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্রথমদিকে পরিবার রাজি হলেও পরবর্তীতে আচরণে পরিবর্তন দেখে আমরা সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসি। তখন তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর আমার পারিবারিকভাবে অন্যত্র বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হলে আশিকুর ফের প্রস্তাব দেন।”

ছাত্রী অভিযোগ করেন, “আমার পরিবার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তিনি প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং হুমকি দিতে থাকেন যে, তিনি রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসিয়ে আমাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলবেন। কয়েকদিনের ব্যবধানে বাবার বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক মামলা ও আমার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনের একটি মামলায় আসামি করা হয়।”

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একজন সিনিয়র শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ছাত্ররাজনীতির নামে কেউ যদি ব্যক্তিগত ক্ষোভ চরিতার্থ করতে রাজনৈতিক মামলাকে অস্ত্র বানায়, তা হলে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং নিন্দনীয়। এ ধরনের বিষয় শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নষ্ট করে।”

অন্যদিকে, অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা আশিকুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, “বিয়ের প্রস্তাব বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়টি মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। মামলাটি সম্পূর্ণ আইনানুগ এবং আমার নিরাপত্তার স্বার্থে দায়ের করা হয়েছে।”

তবে ভুক্তভোগী পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, মামলার সময় এবং ঘটনার পটভূমি স্পষ্টতই ব্যক্তিগত বিরোধকে ইঙ্গিত করে। ছাত্রী এবং তার বাবা প্রশাসনের কাছে দ্রুত তদন্ত করে হয়রানিমূলক মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।


সংক্ষেপে মূল পয়েন্টগুলো:

  • বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ও তার পিতা রাজনৈতিক মামলার আসামি।

  • অভিযোগ—বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখানের জেরেই প্রতিহিংসামূলক মামলা।

  • মামলার বাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতা।

  • বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।

  • পিবিআই মামলার তদন্তে নিয়োজিত।

Geen reacties gevonden