নতুন আশার আলো জ্বালিয়ে, চাঁদপুরের কৃতি সন্তান উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ২৩ মে (শুক্রবার) এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়, যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন দলটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। তার স্বাক্ষরিত এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। নুরুজ্জামান হীরা শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং একজন চিন্তাশীল সমাজকর্মী, বিশ্লেষক এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিত্ব হিসেবেও সুপরিচিত। ছোটবেলা থেকেই তিনি পারিবারিকভাবে সমাজসেবা ও এলাকার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। ঢাকাস্থ চাঁদপুর সমিতির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে চাঁদপুরের প্রবাসী জনগণের পাশে দাঁড়ানো, সামাজিক সহযোগিতা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। নতুন দায়িত্ব পেয়ে প্রতিক্রিয়ায় উপাধ্যক্ষ হীরা বলেন, "বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে আমাদের দল বিজেপি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেই আমরা একটি স্বচ্ছ, উন্নয়নমুখী এবং আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। এই লক্ষ্যে আমাদের চেয়ারম্যান জননেতা ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর সেই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো, ইনশাআল্লাহ।" তিনি আরও জানান, নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক চেতনা গড়ে তুলতে হলে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে তারুণ্যের প্রভাব বিস্তার করতে হবে। হীরা বলেন, "সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আমি সেই লক্ষ্যেই কাজ করবো – দলের প্রতিটি স্তরে সমন্বয়, কর্মসূচির বাস্তবায়ন, এবং তৃণমূলে নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবো।" নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তির পর বিজেপির কেন্দ্রীয়, জেলা ও থানা পর্যায়ের বহু নেতাকর্মী এবং শুভাকাঙ্খীরা তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে অভিনন্দন বার্তায় ছেয়ে গেছে। অনেকে বলছেন, দলের নতুন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে হীরা ভাইয়ের মতো একজন চিন্তাশীল ও ত্যাগী নেতার আসা দলের জন্য আশীর্বাদ। চাঁদপুরের রাজনীতিতে ইতোমধ্যেই হীরা একটি পরিচিত নাম। ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন একজন সাহসী ছাত্রনেতা এবং সময়োপযোগী রাজনৈতিক মতামতের জন্য পরিচিত। একইসাথে তিনি একজন দক্ষ বক্তা এবং গণমাধ্যমে রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবেও নিয়মিত সক্রিয়। তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা দলকে নতুন গতিতে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে বলেই দলীয় নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা। উপাধ্যক্ষ হীরার সামাজিক অবদানও কম নয়। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থেকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসেবা, এবং সংস্কৃতি চর্চায় অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছেন। তার উদ্যোগে ঢাকায় বসবাসরত চাঁদপুরবাসীদের জন্য নানা সুবিধামূলক কর্মকাণ্ডও পরিচালিত হচ্ছে। চাঁদপুরের মাটি ও মানুষের প্রতি আজীবনের দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি রাজনীতিকে মানুষের সেবার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে দেখেন। তাই তার নতুন এই দায়িত্ব শুধু একটি পদ নয়, বরং একটি বৃহৎ সুযোগ—জনসাধারণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করার। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা শেষ পর্যন্ত বলেন, "এই দায়িত্ব শুধু একটি সম্মান নয়, বরং একটি দায়িত্বও বটে। আমি সর্বোচ্চ সততা, নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতা নিয়ে এই দায়িত্ব পালন করবো। দলকে শক্তিশালী করা, জনগণের আস্থা অর্জন, এবং তারুণ্য নির্ভর নেতৃত্ব বিকাশই হবে আমার মূল লক্ষ্য।"
close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
বিজেপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন চাঁদপুরের গর্ব নুরুজ্জামান হীরা: তারুণ্যের নেতৃত্বে নতুন যাত্রা!..
कोई टिप्पणी नहीं मिली



















