বিয়ের জন্য ঋণ দেবে ব্যাংক, জেনে নিন শর্ত

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বিয়ের খরচে আর টেনশন নয়! দেশের শীর্ষ ব্যাংকগুলো থেকে ২৫ হাজার থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ‘বিবাহ ঋণ’ পাওয়ার সুযোগ।..

বিয়ে আয়োজনের চিন্তা কিন্তু টাকা নেই? এখন আর হতাশ হবেন না, কারণ বাংলাদেশে বেশ কিছু ব্যাংক ‘বিবাহ ঋণ’ নামের বিশেষ ঋণ সুবিধা দিচ্ছে। এই ঋণের মাধ্যমে আপনি ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিয়ের খরচ চালাতে পারবেন।

ব্যক্তিগত ঋণ বা পারসোনাল লোন হিসেবে এই ঋণ দেওয়া হয়, যেখানে সাধারণত জামানত ছাড়া আবেদন করা যায়। তবে ব্যাংকগুলো ঋণের অনুমোদন দেয় আবেদনকারীর আয়, চাকরির নিরাপত্তা এবং আর্থিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে।

বিয়ের জন্য ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে মাসিক আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঋণের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। সাধারণত স্থায়ী চাকরি ও উচ্চ আয়ের ক্ষেত্রে ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

দেশের বেশ কিছু ব্যাংক এই সুবিধা দেয়, যেমন: উত্তরা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, ইউসিবি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ইত্যাদি। অধিকাংশ ব্যাংকের ব্যক্তিগত ঋণও বিয়ের খরচে ব্যবহার করা যায়।

ব্যাংক অনুযায়ী ঋণের সীমা ও সময়সীমা

  • এনসিসি ব্যাংক: সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ, ১ থেকে ৫ বছর পরিশোধের সময়।

  • উত্তরা ব্যাংক: ২৫ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা, ১ থেকে ৩ বছর সময়।

  • মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক: ২ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা, ২১ থেকে ৬৫ বছর বয়সীদের জন্য।

  • ইউসিবি: সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা, ৫ বছরের মধ্যে কিস্তিতে পরিশোধ।

  • সীমান্ত ব্যাংক: বিজিবি সদস্যদের জন্য ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা, ১ থেকে ৫ বছর সময়।

বিবাহ ঋণ পেতে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, চাকরির প্রমাণপত্র, সাম্প্রতিক পে-স্লিপ, ব্যাংক হিসাবের বিবরণী, টিআইএন সনদ এবং প্রয়োজনমতো বিয়ের কার্ড অথবা অনাপত্তি সনদ জমা দিতে হয়।

ঋণ মাসিক কিস্তিতে ফেরত দিতে হয়, সর্বোচ্চ ৫ বছর সময় পেয়ে। কিস্তি বাড়ালে সুদের হারও বৃদ্ধি পায়, তাই ঋণ নেওয়ার আগে পরিকল্পনা করে নেওয়া উচিত।

এখন আর বিয়ের জন্য টাকার অভাবে চিন্তা করার দরকার নেই। দেশের বেশ কিছু ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে বিয়ের ঋণ পাওয়া যাচ্ছে। আপনার আয়ের সঙ্গে মিল রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নিজের স্বপ্নের বিয়ে আয়োজন করুন। দ্রুত আবেদন করুন এবং সুবিধা নিন।

Inga kommentarer hittades